নেপালে জেন–জিদের বিক্ষোভ–সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭২
নেপালে দুই দিনের গণবিক্ষোভ ঘিরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭২–এ দাঁড়িয়েছে। দুর্নীতিবিরোধী এই বিক্ষোভের সময় যেসব সরকারি ও বেসরকারি ভবনে আগুন দেওয়া হয়েছিল, সেখানে মরদেহ উদ্ধারে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। আজ রোববার এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গত সপ্তাহের সোম ও মঙ্গলবার নেপালের কয়েক দশকের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। রাজধানী কাঠমান্ডুসহ দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয় পার্লামেন্ট ভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ বিভিন্ন অবকাঠামোয়। এর জেরে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি পদত্যাগ করেন।
বিক্ষোভ থামার পর বুধবার থেকে দফায় দফায় নিহতের সংখ্যা হালনাগাদ করা হয়েছে। আজ নেপালের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র প্রকাশ বুদাথোকি বলেন, বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অন্তত ২ হাজার ১১৩ জন। বিপণিবিতান, ঘরবাড়িসহ যেসব স্থাপনায় আগুন দেওয়া হয়েছিল এবং হামলা চলানো হয়েছিল, সেখানে অনেকের মরদেহ পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে বিক্ষোভের সময় নেপালের বিভিন্ন কারাগার থেকে বহু আসামি পালিয়েছিলেন। নেপালের পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তাঁদের মধ্যে ৩ হাজার ৭২৩ জনকে নতুন করে হেফাজতে নেওয়া সম্ভব হয়েছে। তাঁদের অনেককে দেশত্যাগের সময় আটক করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। অনেকে নেপালের পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। এখনো প্রায় ১০ হাজার ৩২০ জন বন্দী পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, বিক্ষোভের সময় নেপালের চিতওয়ান জেলা কারাগার থেকে ৭৪০ আসামি পালিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ২৩৫ জনকে আটক করা হয়েছে। আর থানায় পুলিশের হেফাজতে থাকা ২৩৫ বন্দীকে আটক করা গেছে। থানা থেকে পালানো ২ হাজার ১০০ জন এখনো পলাতক। পলাতক আসামিদের বিষয়ে কোনো তথ্য পেলে কাছের থানায় অবহিত করার জন্য নেপালের নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।