পাকিস্তানে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯

ভূমিকম্পের পর লোকজন আতঙ্কে রাস্তায় নেমে আসে
ছবি: রয়টার্স

পাকিস্তানে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে ভূমিকম্পে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৯-এ দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ৪৪ জন। প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ হতাহতের এ সংখ্যা প্রকাশ করেছে।

গতকাল মঙ্গলবার আফগানিস্তান ও পাকিস্তান সীমান্তে ৬ দশমিক ৫ মাত্রার এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জুরম এলাকার কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল। এর গভীরতা ছিল ১৮৭ কিলোমিটার।

পাকিস্তানের স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৪৭ মিনিটের দিকে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। একে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া দেশটির লাহোর, ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিন্ডি, কোয়েটা, পেশোয়ার, লাক্কি মারওয়াত, সোয়াবি, পারাচিনার, নওশেরা, কোহাত, স্কারদু, তোবা, টেক সিং, খানেওয়াল, লোধরান, ডিজি খান, ভাওয়ালপুর এবং আরও কিছু এলাকায় ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়েছে।

আরও পড়ুন

ভূমিকম্পের পর পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের হাসপাতালগুলোতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। প্রদেশজুড়ে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে।
ভূমিকম্প-পরবর্তী কয়েকটি কম্পনও অনুভূত হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, খাইবার পাখতুনখাওয়ার লোয়ার দির জেলার তিমেরগারা এলাকার হাসপাতালে সাতজনকে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের বেশির ভাগই আতঙ্কে ছুটোছুটি করার সময় আহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন

সোয়াত উপত্যকার পুলিশপ্রধান শফিউল্লাহ গান্দাপুর বলেছেন, মাদিয়ান শহরে ঘরের ছাদ ধসে এক কিশোরী নিহত হয়েছে। ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেছেন, উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার খবর পেয়েছেন তাঁরা। ওই এলাকায় কমপক্ষে ১৫০ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল আছে।

ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডির বিভিন্ন বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবন এবং ফ্ল্যাটে ফাটল দেখা গেছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল, ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি ও কাশ্মীর থেকেও এ কম্পন অনুভূত হয়েছে।

আরও পড়ুন