জুরং বার্ড পার্কের প্রাণী চিকিৎসক এলেন রাসিদি বলেন, ‘আমরা পাখিগুলোর চোখে ঝাপসাভাব ও সামনের দিকের পথ চলার ছন্দপতন লক্ষ করেছি। এরপর ছানি অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিই।’
পেঙ্গুইনগুলোর চোখে লেন্স প্রতিস্থাপনকারী দলের একজন প্রাণী চক্ষুবিশেষজ্ঞ গ্লাডিস বো। তিনি বলেন, প্রাণী চিকিৎসার ক্ষেত্রে এটি একটি মাইলফলক। কিং পেঙ্গুইনের চোখের আকার বড়। তিনটি পাখিরই চোখের পরিমাপ আলাদা। তাই লেন্সগুলো পৃথকভাবে প্রস্তুত করতে হয়েছে। এগুলো আনা হয়েছে জার্মানি থেকে।
অস্ত্রোপচারের পর ছয়টি পেঙ্গুইনকেই পানি থেকে দূরে রাখতে হয়েছে। চিড়িয়াখানার কর্মীরা প্রতিদিন দুই বেলা পাখিগুলোর চোখে ড্রপ দিয়েছে। লেন্স লাগানোর পর পেঙ্গুইনগুলোর চলার ছন্দ ও কর্মোদ্দীপনা বেড়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
পেঙ্গুইনের প্রজাতির মধ্যে কিং পেঙ্গুইনের অবস্থান দ্বিতীয় বৃহত্তম। এগুলোর ওজন ১৮ কেজি পর্যন্ত হয়। উচ্চতায় ১ মিটার হতে পারে। কিং পেঙ্গুইন বন্দী অবস্থায় ৩০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। এগুলো দক্ষিণ মহাসাগর ও অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ–সংলগ্ন স্থানে পাওয়া যায়।
সিঙ্গাপুরের জুরং বার্ড পার্ক বিশ্ববিখ্যাত। সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির টিয়া, ফ্লেমিংগো, ঈগলসহ প্রায় ৩৫ হাজার পাখি রয়েছে। পার্কটির কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ধরনের পাখি উদ্ধার ও পুনর্বাসন করে। এর আগে তারা ক্যানসারে আক্রান্ত একটি ধনেশের চিকিৎসা করেছে।