তিয়েনআনমেন স্কয়ার হত্যাযজ্ঞের স্মৃতি ইতিহাসের স্রোতে বিলীন হবে না: তাইওয়ান

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং–তেফাইল ছবি: রয়টার্স

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে বলেছেন, তিয়েনআনমেন স্কয়ারে চীনের প্রাণঘাতী দমন অভিযানের স্মৃতি ইতিহাসের স্রোতে বিলীন হবে না।

আজ মঙ্গলবার তিয়েনআনমেন স্কয়ার হত্যাযজ্ঞের ৩৫তম বার্ষিকীতে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট।

ফেসবুকে লাই চিং-তে লিখেছেন, ৪ জুনের স্মৃতি ইতিহাসের স্রোতে বিলীন হবে না। তাঁরা এই ঐতিহাসিক স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে কঠোর পরিশ্রম করে যাবেন। যাঁরা চীনের গণতন্ত্র নিয়ে চিন্তা করেন, তাঁদের সবার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবেন তাঁরা।

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট আরও লিখেছেন, এটি ঘটনাটি মনে করিয়ে দেয়, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা সহজে আসে না। স্বাধীনতা দিয়ে কর্তৃত্ববাদের জবাব দিতে হবে। সাহসের সঙ্গে কর্তৃত্ববাদের সম্প্রসারণের মোকাবিলা করতে হবে।

১৯৮৯ সালের ৪ জুন বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কয়ারে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী অভিযান চালান চীনা সেনারা। এতে কয়েক শ মানুষ নিহত হন। অবশ্য কেউ কেউ বলেন, এই ঘটনায় নিহত মানুষের সংখ্যা এক হাজারের বেশি।

চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট নেতৃত্ব তিয়েনআনমেন স্কয়ারের ঘটনা নিয়ে আলাপ-আলোচনাকে অত্যন্ত স্পর্শকাতর বলে বিবেচনা করে। চীনের মূল ভূখণ্ডে এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ (সেন্সর) নিষিদ্ধ।

তবে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তাইওয়ান প্রতিবছর এই দিনকে স্মরণ করে থাকে। আজ তিয়েনআনমেন স্কয়ার হত্যাকাণ্ডের ৩৫তম বার্ষিকীতে তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে এ-সংক্রান্ত একটি স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

তাইওয়ান নিজেকে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র মনে করে। অন্যদিকে তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে চীন। তাইওয়ানের নতুন প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তেকে ‘ভয়ংকর বিচ্ছিন্নতাবাদী’ হিসেবে অভিহিত করে আসছে বেইজিং।

আরও পড়ুন