‘সু চি বেঁচে আছেন কি না, আমরা যাচাই করতে পারছি না’

অং সান সু চিছবি: রয়টার্স

বন্দী অবস্থায় মিয়ানমারের সাবেক নেত্রী অং সান সু চির স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার তাঁর ছেলে কিম অ্যারিস এমনটা জানান। তিনি তাঁর মাকে ‘নিষ্ঠুর ও জীবন সংশয়ী’ সামরিক হেফাজত থেকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।

কিম অ্যারিস বলেছেন, তাঁর ৮০ বছর বয়সী মা ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে কারাবন্দী। তাঁর হৃদ্‌রোগ দ্রুত খারাপের দিকে যাচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে তাঁর চিকিৎসা প্রয়োজন।

আরও পড়ুন

কিম অ্যারিস লন্ডন থেকে মুঠোফোনে রয়টার্সকে বলেন, অং সান সু চি প্রায় এক মাস আগে একজন হৃদ্‌রোগবিশেষজ্ঞ দেখানোর অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর অনুরোধ রাখা হয়েছে কি না, এখনো জানেন না তিনি (কিম)।

কিম অ্যারিস বলেন, ‘যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া তাঁর হৃদ্‌যন্ত্রের অবস্থা বোঝা সম্ভব নয়। আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। তিনি আদৌ বেঁচে আছেন কি না, তা–ও আমরা যাচাই করতে পারছি না।’

সু চি হাড় ও মাড়ির সমস্যায়ও ভুগছেন। তাঁর ছেলে মনে করেন, গত মার্চে মিয়ানমারে যে ভূমিকম্পে ৩ হাজার ৭০০-এর বেশি মানুষ মারা গিয়েছিলেন, তাতে সু চিও আহত হতে পারেন। কিম একটি ফেসবুক ভিডিওতে সু চি এবং মিয়ানমারের সব রাজবন্দীকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

সু চি হাড় ও মাড়ির সমস্যায়ও ভুগছেন। তাঁর ছেলে মনে করেন, গত মার্চে মিয়ানমারে যে ভূমিকম্পে ৩ হাজার ৭০০-এর বেশি মানুষ মারা গিয়েছিলেন, তাতে সু চিও আহত হতে পারেন। কিম একটি ফেসবুক ভিডিওতে সু চি এবং মিয়ানমারের সব রাজবন্দীকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য মিয়ানমারের সেনা-সমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক মুখপাত্রকে একাধিকবার ফোন করেছিল রয়টার্স, কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয়ে ই-মেইলে প্রশ্ন পাঠানো হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

রাষ্ট্রদ্রোহ, ঘুষ কেলেঙ্কারি, ভোট জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন সু চি। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, সু চিকে রাজনৈতিকভাবে নির্মূল করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক এসব অভিযোগ আনা হয়েছে।

আরও পড়ুন