গোতাবায়ার সিঙ্গাপুরে অবস্থানের মেয়াদ ১৪ দিন বাড়ল

শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে
ফাইল ছবি: এএফপি

শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের সিঙ্গাপুরে অবস্থানের মেয়াদ আরও ১৪ দিন বাড়িয়েছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে গোতাবায়ার দুই ভাই—সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে ও সাবেক অর্থমন্ত্রী বাসিল রাজাপক্ষের দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা ২ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছেন শ্রীলঙ্কার সুপ্রিম কোর্ট। খবর দ্য স্ট্রেইট টাইমস ও রয়টার্সের।
সিঙ্গাপুরের ইংরেজি দৈনিক দ্য স্ট্রেইট টাইমস আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, গোতাবায়ার স্বল্পমেয়াদি ‘ভিজিট পাস’ আরও ১৪ দিন বাড়ানো হয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে ব্যক্তিগত ভ্রমণে সিঙ্গাপুরে পৌঁছালে তাঁকে এই ‘ভিজিট পাস’ দেওয়া হয়।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার মন্ত্রিসভার মুখপাত্র বন্দুলা গুনাবর্ধনে সাংবাদিকদের জানান, গোতাবায়া রাজাপক্ষে সিঙ্গাপুর থেকে নিজ দেশে ফিরে আসতে পারেন। তবে কখন ফিরতে পারেন—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ফেরার সঠিক তারিখ তিনি জানেন না।

সরকারবিরোধী তুমুল বিক্ষোভের মুখে ১৩ জুলাই শ্রীলঙ্কা থেকে পালিয়ে মালদ্বীপে যান দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া (৭৩)। পরদিন তিনি মালদ্বীপ থেকে সিঙ্গাপুরে যান। সিঙ্গাপুরে গিয়ে দেশে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন।
দ্য স্ট্রেইট টাইম জানায়, গোতাবায়ার জন্য ইস্যু করা নতুন ‘ভিজিট পাস’ আগামী ১১ আগস্ট শেষ হবে।

সিঙ্গাপুরে পৌঁছানোর পর শহরের কেন্দ্রে একটি হোটেলে প্রাথমিকভাবে অবস্থান করেন গোতাবায়। পরে সেখান থেকে তিনি ব্যক্তিগত বাসভবনে চলে যান বলে মনে করা হচ্ছে। সিঙ্গাপুরে যাওয়ার পর নিজেকে অনেকটা আড়ালে রেখেছেন গোতাবায়া। সেখানে তাঁকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি।

গোতাবায়া সিঙ্গাপুরে পা রাখার পর দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষ জানায়, তিনি ব্যক্তিগত সফরে সে দেশে এসেছেন। তাঁকে ১৪ দিনের স্বল্পমেয়াদি ‘ভিজিট পাস’ দেওয়া হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, গোতাবায়া রাজনৈতিক আশ্রয় চাননি। তাঁকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন

এদিকে আজ চ্যানেল নিউজফার্স্টের করা এক টুইটের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে ও সাবেক অর্থমন্ত্রী বাসিল রাজাপক্ষের দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা আগামী ২ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছেন শ্রীলঙ্কার সুপ্রিম কোর্ট।
গোতাবায়া ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট হন রনিল বিক্রমাসিংহে। এর আগে গণবিক্ষোভের মুখে মাহিন্দা পদত্যাগ করলে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন রাজাপক্ষে পরিবারের ঘনিষ্ঠ প্রবীণ এই নেতা।

আরও পড়ুন