দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পথে জেসিন্ডা

জেসিন্ডা আরডার্ন (বামে)ছবি: রয়টার্স

লাখ লাখ ভোটার নিউজিল্যান্ডে সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে ভোট দিচ্ছেন। ব্যাপক জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নের লেবার পার্টি। গত সেপ্টেম্বরে ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নতুন করে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ভোট এক মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নির্বাচনে লেবার পার্টির নেতা জেসিন্ডা আরডার্নের (৪০) মুখোমুখি হচ্ছেন ন্যাশনাল পার্টির প্রধান কলিন্স (৬১)। এটি নিউজিল্যান্ডের ৫৩তম পার্লামেন্ট নির্বাচন।

মতামত সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা দ্বিতীয় মেয়াদে জয়ের পথে। করোনাভাইরাস মহামারি সফল ব্যবস্থাপনা তাঁর পক্ষে কাজ করতে পারে। তবে এখন বড় প্রশ্ন হলো তিনি সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবেন কি না তা নিয়ে।

নির্বাচনী প্রচারে সমর্থকদের সঙ্গে সেলফি তুলছেন জেসিন্ডা
ছবি : প্রথম আলো

১৯৯৬ সালে মিক্সড মেম্বার প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেনটেশন (এমএমপি) নামে পরিচিত একটি সংসদীয় ব্যবস্থা চালু করার পর থেকে নিউজিল্যান্ডে কোনো দলই সুস্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি।

সাধারণ নির্বাচনের ভোট দেওয়ার পাশাপাশি দুটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গণভোটও দিচ্ছেন নিউজিল্যান্ডবাসী। অধিকাংশ বিশ্লেষক বলছেন, দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসছেন জেসিন্ডা। কিছু মতামত জরিপে দেখা গেছে, সংখ্যাগরিষ্ঠতাও পেতে পারেন তিনি। আজ শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটার পর ফলাফল জানা যাবে।

লেবার পার্টির পক্ষ থেকে কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনায় জেসিন্ডার সফলতায় দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখা হলেও প্রতিদ্বন্দ্বী কলিন্স বলছেন, করোনা–পরবর্তী অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তিনি ভালো করতে পারবেন।

দেশটির নির্বাচন কমিশন বলেছে, গতকাল শুক্রবারই অর্ধেকের বেশি, অর্থাৎ ২০ লাখ ভোট দেওয়া হয়েছে। নিউজিল্যান্ডবাসী ইথেনাসিয়া ও গাঁজা বৈধ করতেও গণভোটে ভোট দিচ্ছেন।

৫০ লাখের বেশি জনসংখ্যার দেশ নিউজিল্যান্ডে মাস খানেকের বেশি সময় ধরে করোনায় গোষ্ঠী সংক্রমণের কোনো ঘটনা নেই। সেখানে লোকদের মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব অনুসরণ করতে হয় না।

আরও পড়ুন