বাস্তুচ্যুতদের জন্য জরুরি সহায়তা চাইল তালেবান

আফগানিস্তানে খাদ্যসংকট তীব্র হচ্ছে। লাইনে দাঁড়িয়ে খাদ্য সংগ্রহ করছেন এক নারী
ছবি: রয়টার্স

বাস্তুচ্যুত আফগানদের জন্য বিদেশি সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে তালেবান। তালেবানের শরণার্থীবিষয়ক মন্ত্রী খলিল-উর-রহমান হাক্কানি আল-জাজিরাকে বলেছেন, আগামী শীতের আগেই বাস্তুচ্যুত আফগানদের সহায়তায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। এ জন্য বিদেশি দেশ ও সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেছেন তালেবান নেতারা। আল–জাজিরার খবর।  

সম্প্রতি বিদেশি দাতা সংস্থাগুলো আফগানিস্তানে মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, আফগানিস্তানে দ্রুত সহায়তা না পৌঁছালে দেশটি মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির তথ্যমতে, আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে আফগানিস্তানের ৯৭ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যেতে পারে। ইতিমধ্যেই দুর্ভিক্ষ এবং খরার কারণে হাজার হাজার আফগান আশ্রয় খুঁজতে শহরে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

এদিকে নারীদের কর্মস্থলে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা অনানুষ্ঠানিকভাবেই কার্যকর করেছে তালেবান। নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় নারীশিক্ষার ওপরও। বন্ধ করে দেওয়া হয় নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয়। তালেবানের এসব সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত রোববার বিক্ষোভ করেন নারীরা।

কাবুলের মেয়র ঘোষণা করেন, সিটি করপোরেশনের যেসব পদে নারীরা কাজ করতেন, সেগুলো পুরুষ কর্মীদের দিয়ে পূরণ করা হবে।

আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক উচ্চপদস্থ নারী কর্মকর্তা বলেন, তালেবান ক্ষমতায় এসে তাঁকে চাকরিচ্যুত করে। বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, ‘আমি পুরো বিভাগের দায়িত্বে ছিলাম। আমার সঙ্গে আরও অনেক নারী কাজ করতেন। এখন আমরা সবাই কাজ হারিয়েছি।’

আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাক্কানি বলেন, আফগানিস্তানে হাজার হাজার মানুষ অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত হন। আফগানিস্তানে এখন শান্তি বিরাজ করছে। সবাই এখন ঘরে ফিরতে পারেন। কাবুল থেকে পানশিরে অন্তত ২০ হাজার মানুষ গেছেন বলে জানান হাক্কানি। শরণার্থীদের সহায়তায় কাবুলকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কারণ, কাবুল আফগানিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল শহর এবং এই শহরেই সবচেয়ে বেশি শরণার্থী রয়েছে।

হাক্কানি আরও বলেন, বাস্তুচ্যুতদের নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে সাহায্য করবে তালেবান। যাদের বাড়িঘর ভেঙে গেছে, প্রয়োজনে সেসব মেরামতেও সাহায্য করা হবে।