শ্রীলঙ্কায় দুই সপ্তাহ পেট্রল–ডিজেল বিক্রি বন্ধ

পেট্রল কেনার জন্য সেনাবাহিনীর কাছ থেকে টোকেন নিতে সারিবদ্ধ হয়ে অপেক্ষমাণ মোটরসাইকেলচালকেরা। কলম্বো, ২৭ জুন
ছবি: রয়টার্স

স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংকটে পড়া শ্রীলঙ্কা অতি প্রয়োজনীয় নয়—এমন যানবাহনের জন্য জ্বালানি বিক্রি বন্ধ ঘোষণা করেছে। খবর বিবিসির।

স্বাস্থ্যসেবা ও খাদ্যপণ্য সরবরাহের কাজে নিয়োজিত পরিবহন ছাড়া আগামী দুই সপ্তাহ শ্রীলঙ্কায় কোনো ধরনের যানবাহনে জ্বালানি ভরতে দেওয়া হবে না।

ইতিমধ্যে রাজধানী কলম্বোসহ শহর এলাকায় স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জ্বালানি সাশ্রয়ে কর্মীদের ঘরে বসে অফিসের কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

বৈদেশিক মুদ্রার মজুত–সংকটে জ্বালানি ও খাদ্য আমদানি করতে পারছে না শ্রীলঙ্কা। এ পরিস্থিতি থেকে উদ্ধারে ঋণ নিয়ে দাতা সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চলছে।

আরও পড়ুন

গতকাল সোমবার শ্রীলঙ্কা সরকার এক ঘোষণা দিয়ে বলেছে, আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত বেসরকারি পরিবহনের পেট্রল ও ডিজেল কেনায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো। শ্রীলঙ্কার মন্ত্রিসভার একজন মুখপাত্র বান্দুলা গুনেবর্ধনা বলেছেন, স্বাধীন শ্রীলঙ্কা তার ইতিহাসে আর কখনোই এতটা ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়েনি।

এই পরিস্থিতিতে মূল্যছাড়ে জ্বালানি কেনার জন্য বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ দুই তেল উৎপাদনকারী দেশ রাশিয়া ও কাতারে সরকারি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
গত রোববার ডিজেলের দাম ১৫ শতাংশ বাড়িয়ে প্রতি লিটার ৪৬০ রুপি (১.২৭ ডলার) ও পেট্রলের দাম ২২ শতাংশ বাড়িয়ে ৫৫০ রুপি (১.৫১ ডলার) করা হয়।

এর আগে গত শনিবার শ্রীলঙ্কার জ্বালানিমন্ত্রী কাঞ্চনা ভিজেসেকেরা বলেন, জ্বালানির নতুন চালান পেতে অনির্দিষ্টকাল দেরি হতে পারে।

আরও পড়ুন

মোটরযানচালকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে তিনি অনুরোধ করেন, তাঁরা যেন জ্বালানি স্টেশনের সামনে ভিড় না করেন। এদিকে জ্বালানির আশায় ফিলিং স্টেশনের সামনের লাইন দীর্ঘ হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, শ্রীলঙ্কার জ্বালানির যে মজুত অবশিষ্ট আছে, তা আজ মঙ্গলবার শেষ হবে। এর এক দিন আগে জ্বালানি বিক্রি বন্ধ করার ঘোষণা দিল সরকার।

আরও পড়ুন