পেলোসির ওপর নিষেধাজ্ঞা চীনের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি
ছবি: রয়টার্স

তাইওয়ান সফরের জেরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ও তাঁর পরিবারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চীন। চীনে আজ শুক্রবার এই ঘোষণা দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। খবর এএফপির।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, পেলোসি এই সফরের মধ্য দিয়ে চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মারাত্মক হস্তক্ষেপ এবং চীনের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডগত অখণ্ডতাকে গুরুতরভাবে ক্ষুণ্ন করেছেন।

মন্ত্রণালয় বলছে, চীন পেলোসি ও তাঁর পরিবারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

এশিয়া সফরের শেষ পর্যায়ে বর্তমানে জাপানে রয়েছেন পেলোসি। আজ তিনি বলেন, তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলার সুযোগ চীনকে দেবে না যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে তাইওয়ানে পৌঁছান পেলোসি। পেলোসির এই সফর ঘিরে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। এ জন্য ‘কঠিন পরিণতি’ ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল চীন।

পেলোসির সফরের প্রতিক্রিয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। আগামী রোববার দুপুর নাগাদ চীনের ছয়টি অঞ্চলে এই মহড়া চলবে। এতে দৃশ্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে তাইওয়ান।

আরও পড়ুন

১৯৯৬ সালে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর সবচেয়ে বৃহত্তম এই মহড়ায় চীনের কয়েক ডজন যুদ্ধবিমান অংশ নিয়েছে এবং ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। এতে তাইওয়ানের সঙ্গে অন্যান্য দেশের উড়োজাহাজ যোগাযোগও বিঘ্নিত হচ্ছে।

এ ছাড়া পেলোসির সফরের জেরে তাইওয়ানের বিভিন্ন পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে চীন। বুধবার সকালে তাইওয়ান থেকে লেবুজাতীয় ফল ও দুই ধরনের মাছ আমদানি তাৎক্ষণিক নিষিদ্ধ করা হয়। একই সঙ্গে দ্বীপটিতে বালু রপ্তানিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগের দিন বিস্কুট ও অন্যান্য বেকারি পণ্যেও নিষেধাজ্ঞা দেয় বেইজিং।

আরও পড়ুন

গত ২৫ বছরের মধ্যে তাইওয়ান সফর করা সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ মার্কিন রাজনীতিবিদ পেলোসি। তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড মনে করে বেইজিং। কিন্তু তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবেই দেখে দেশটির জনগণ। যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে তাইওয়ানকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে আসছে।