নতুন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ‘ব্যাপক অগ্রগতি’র দাবি চীনের
নতুন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে চীন ‘ব্যাপক অগ্রগতি’ অর্জন করেছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেঙ্গহি। তবে চীন কেবল আত্মরক্ষার জন্যই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে। কখনো নিজে আগে এই অস্ত্র ব্যবহার করবে না বলে তিনি জানান।
আজ রোববার সিঙ্গাপুরে ‘শাংরি-লা ডায়ালগ’ শীর্ষক নিরাপত্তা সম্মেলনে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। খবর রয়টার্সের।
চীন দেশটির পূর্বাঞ্চলে ১০০টির বেশি নতুন পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র সাইলো (ভূগর্ভস্থ অস্ত্রাগার) নির্মাণ করছে বলে গত বছর একাধিক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ফেঙ্গহি আরও বলেন, ‘দেশের সুরক্ষার জন্য পারমাণবিক সামর্থ্য অর্জনে সব সময় সঠিক পথই অনুসরণ করে আসছে চীন।’
চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, চীনের ডিএফ-৪১ আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের আরও উন্নত লঞ্চারসহ বেইজিংয়ে ২০১৯ সালের সামরিক কুচকাওয়াজে পারমাণবিক অস্ত্র প্রদর্শন করা হয়। এসব পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত এবং সেগুলো মোতায়েন রয়েছে।
ফেঙ্গহি বলেন, ‘পাঁচ দশক ধরে সামর্থ্য বাড়াচ্ছে চীন। এ খাতে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে বললে অত্যুক্তি হবে না। চীন তার নীতি বজায় রেখেছে। আত্মরক্ষার জন্য আমরা এই সামর্থ্য কাজে লাগাব। আমরা প্রথমে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করব না।’
তিনি বলেন, চীনের পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডারের মূল উদ্দেশ্য পারমাণবিক যুদ্ধ ঠেকানো। চীনের জনগণের পরিশ্রমের সুরক্ষা এবং আমাদের জনগণকে পারমাণবিক যুদ্ধের বিভীষিকা থেকে রক্ষা করতেই আমরা আমাদের পারমাণবিক সামর্থ্য বাড়িয়েছি।
চীনের পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত বাড়ানো উদ্বেগজনক বলে গত বছর মন্তব্য করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা বলছে, প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ন্যূনতম প্রতিরোধ সক্ষমতার ভিত্তিতে নেওয়া পারমাণবিক কৌশল থেকে বেইজিং সরে আসছে বলে মনে করা হচ্ছে।
‘অস্থিতিশীল অস্ত্র প্রতিযোগিতার ঝুঁকি কমাতে বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণে’ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।