এস্তোনিয়ার নির্বাচনে রুশপন্থীদের হার

ক্ষুদ্র বাল্টিক রাষ্ট্র এস্তোনিয়ার ক্ষমতাসীন রিফর্ম পার্টি সাধারণ নির্বাচনে জিতেছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার ভূমিকার কারণে নিরাপত্তাগত উদ্বেগ এ নির্বাচনের ওপর ছায়া ফেলে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এতে হেরে গেছেন। খবর বিবিসির।
প্রধানমন্ত্রী তাভি রইভাসের দল ৩০টি আসন পেয়েছে। ১০১ সদস্যের পার্লামেন্টে সরকার গঠন করতে তাঁকে জোট করতে হবে। ৩৫ বছর বয়সী রইভাস ইউরোপের সবচেয়ে কম বয়সী প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দল গত ২০১১ সালের নির্বাচনের চেয়ে অবশ্য সামান্য কম ভোট পেয়েছে।
রুশপন্থী সেন্টার পার্টি পেয়েছে ২৭ আসন। দলটির জন্য এ ফল একটি ধাক্কা। কারণ, তারা এবার ভালো ফল করবে বলে মনে করা হচ্ছিল।
সেন্টার পার্টির সঙ্গে জোট করার কথা ভাবছেন কি না, এ প্রশ্ন করা হলে তাভি রইভাস বলেন, ‘মোটেই না।’
সাম্প্রতিক সময়ে এস্তোনিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে মূল আলোচ্য অর্থনৈতিক সমস্যা এবং প্রতিরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ, ইউক্রেনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের কারণে যা জোরালো হয়েছে। সম্প্রতি কয়েকবার টহলরত রুশ যুদ্ধবিমান দেশটির আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে।
তাভি রইভাস বলেছেন, ইউক্রেন সংকটের পর রাশিয়া অন্য সাবেক সোভিয়েত দেশগুলোকেও অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। গত মাসে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল ফ্যালোন একই আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন।
এস্তোনিয়া একসময় সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল। তবে এখন বিপরীত রাজনৈতিক মেরুর ন্যাটো জোটের সদস্য। আর পুতিনের রাশিয়াই বিলুপ্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের উত্তরাধিকারী।