রাশিয়ায় ভাগনারপ্রধান প্রিগোশিনের গোপন ‘হারেম’

রাষ্ট্রীয় একটি নৈশভোজে ভ্লাদিমির পুতিনের পাশে ইয়েভগেনি প্রিগোশিন (বাঁয়ে)। ২০১১ সালের ১১ নভেম্বর রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর উপকণ্ঠে তোলা
ছবি: রয়টার্স

ইয়েভগেনি প্রিগোশিন—রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনার গ্রুপের প্রধান। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠজন তিনি। তবে রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে আলোচনায় এসেছেন প্রিগোশিন। এবার প্রিগোশিনের ‘গোপন হারেমের’ খবর পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমে শোরগোল ফেলেছে।

জানা গেছে, রাশিয়ার সেইন্ট পিটার্সবার্গ শহরে রয়েছে প্রিগোশিনের হারেম। এই গোপন হারেমে উঠতি বয়সী বা সদ্য ১৮ বছর পেরোনো নারীদের রাখেন তিনি।

প্রিগোশিনের হারেমে থাকা এক নারী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অল্পবয়সী নারীদের প্রতি ভাগনারপ্রধানের বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। বিশেষত কুমারী নারীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পছন্দ করেন তিনি।

প্রিগোশিনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানো এক নারী জানান, তিনি যখন এই সম্পর্কে জড়ান, তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর। তিনি কুমারী ছিলেন। প্রিগোশিন বিশ্বাস করেন, কুমারী নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক তাঁকে দীর্ঘদিন যৌবন ধরে রাখতে সহায়তা করবে।

ওই নারীর এমন দাবি মিথ্যে নয়, রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় যৌনকর্মীদের ইউনিয়নের একজন প্রতিনিধি। তাঁদের কাছেও প্রিগোশিনের যাওয়া–আসা ছিল বলে জানান। এবং প্রিগোশিনের কিছু কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন ওই নারী।

এদিকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইনসাইডারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্রোহের আগে সেইন্ট পিটার্সবার্গের সোলো সোকোস হোটেলে কক্ষ ভাড়া করে প্রিগোশিন তাঁর গোপন হারেমের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। তবে এখন হারেমটি কী অবস্থায় রয়েছে, তা জানা যায়নি।

আরও পড়ুন

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেশটিতে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছিল ভাগনার সেনারা। তবে রুশ সামরিক নেতৃত্বের প্রতি অসন্তোষ ছিল ভাগনারপ্রধান প্রিগোশিনের। এ অসন্তোষের প্রকাশ ঘটে গত ২৩ জুন। বিদ্রোহ করে বসেন প্রিগোশিন। রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাতের জন্য ইউক্রেন সীমান্ত থেকে মস্কোর দিকে অভিযান শুরু করেন তিনি। পথে কয়েকটি শহর নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় ভাগনার। ভাগনারের নিয়ন্ত্রণে যায় গুরুত্বপূর্ণ একটি রুশ সেনাঘাঁটি।

আরও পড়ুন

প্রিগোশিনের বিদ্রোহের জেরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন। পরবর্তী সময়ে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় অভিযান বন্ধের ঘোষণা দেন প্রিগোশিন। সমঝোতায় বলা হয়, প্রিগোশিনসহ ভাগনার সেনারা রাশিয়া ছেড়ে বেলারুশে চলে যাবেন।

বিদ্রোহের পর ভাগনার সেনারা বেলারুশে চলে গেছেন। তবে প্রিগোশিনের অবস্থান নিয়ে জল্পনা–কল্পনা রয়ে গেছে। নিজেদের সেনাদের উদ্দেশে অজ্ঞাত জায়গা থেকে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন তিনি। এতে তিনি বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে ভাগনার সেনাদের আর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এখন থেকে ভাগনার সেনারা আফ্রিকায় মনোনিবেশ করবেন।

আরও পড়ুন

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর, সর্বশেষ সেইন্ট পিটার্সবার্গে রুশ–আফ্রিকা সম্মেলনে প্রিগোশিনকে দেখা গেছে। এর আগে বিদ্রোহের পর প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে একদফা বৈঠক হয়েছিল তাঁর। ওই সময় ভাগনারপ্রধান প্রিগোশিনের বাণিজ্যিক সাম্রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযান চালিয়েছিল রুশ প্রশাসন।

আরও পড়ুন