আলাস্কায় পুতিনের দেহরক্ষীদের কাছে কিসের ‘স্যুটকেস’ ছিল
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দেহরক্ষীরা তাঁর মল সংগ্রহের জন্য একটি বিশেষ ‘টয়লেট স্যুটকেস’ নিয়ে গিয়েছিলেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ইউএস–এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে আলোচনা করতে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় বৈঠক করেন দুই নেতা।
বিদেশি শক্তিগুলো যেন রুশ প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্য–সম্পর্কিত কোনো তথ্য সংগ্রহ করতে না পারে, সে জন্য ব্যতিক্রমী এ নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয় প্রতিবেদনে। এক্সপ্রেস ইউএস জানিয়েছে, পুতিন কোনো বিদেশ সফরে গেলে দেহরক্ষীরা তাঁর মলমূত্র সংগ্রহ করে রাশিয়ায় নিয়ে যায়।
ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের সময় পুতিনকে সুরক্ষিত রাখতে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। তিনি দেহরক্ষীদের মাধ্যমে পরিবেষ্টিত ছিলেন। শুধু তাই নয়, পুতিন ও রাশিয়ার গোয়েন্দা তথ্য সুরক্ষিত রাখতে নেওয়া হয় একাধিক পদক্ষেপ।
ফ্রান্সের সাময়িকী প্যারিস ম্যাচের অনুসন্ধানী সাংবাদিক রেজিস জেন্টে ও মিখাইল রুবিনকে উদ্ধৃত করে দ্য এক্সপ্রেস ইউএস জানিয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের ফেডারেল প্রোটেকশন সার্ভিসের (এফপিএস) সদস্যরা পুতিনের মলমূত্র বিশেষ ব্যাগে সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট ব্রিফকেসে বহন করেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, কয়েক বছর ধরে এই ব্যবস্থা চালু রয়েছে। ২০১৭ সালের মে মাসে পুতিনের ফ্রান্স সফরের সময়ও এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। ধারণা করা হয়, বিদেশি শক্তিগুলো যেন পুতিনের দেহবর্জ্যের নমুনা সংগ্রহ করতে না পারে এবং তাঁর স্বাস্থ্যবিষয়ক কোনো তথ্য না পায়, সে জন্য এ ধরনের ব্যতিক্রমী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
সাংবাদিক ফরিদা রুস্তামোভা জানিয়েছেন, পুতিনের ভিয়েনা সফরের সময়ও একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। ওই সফরে তিনি একটি বহনযোগ্য টয়লেট ব্যবহার করেছিলেন। দ্য এক্সপ্রেস ইউএসের প্রতিবেদনে তাঁকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘তিনি বলেছেন, একটি সূত্রে জানিয়েছে ১৯৯৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পুতিন এ পদ্ধতি অনুসরণ করে আসছেন।’
৭২ বছর বয়সী পুতিনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে নানা জল্পনাকল্পনার মধ্যে এসব খবর বের হয়। গত বছরের নভেম্বরে কাজাখস্তানের রাজধানী আসতানায় এক সংবাদ সম্মেলনের সময় পুতিনের পা কাঁপতে দেখা যায়। এর পর থেকেই তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ পায়।
দ্য এক্সপ্রেস ইউএসের তথ্যমতে, বব বেরুখিম সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন, এটি পারকিনসনসের মতো কোনো স্নায়বিক সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
২০২৩ সালে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে বৈঠকের সময় আসনে বসে থাকা অবস্থায় পুতিনকে কাঁপতে দেখা গিয়েছিল।