পুতিনকে ট্রাম্পের নতুন সময়সীমার পরপরই রাশিয়ার হামলা, ইউক্রেনে নিহত ২৫

রাশিয়ার হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ইউক্রেনের কারাগার। আজ মঙ্গলবার জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলেছবি: এএফপি

ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ১০ থেকে ১২ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর কয়েক ঘণ্টা বাদেই ইউক্রেনে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। হামলায় অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এক ডজনের বেশি কারাবন্দী।

আজ মঙ্গলবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার দখল করা জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলের একটি কারাগারে ইচ্ছাকৃতভাবে হামলা চালিয়েছে মস্কো। এতে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। ওই কারাগারে যে বেসামরিক লোকজন রয়েছেন, তা রাশিয়ার না জানার কথা নয়।

ইউক্রেনের বিচারবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই কারাগারে চারটি গ্লাইড বোমা দিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে নিহতের পাশাপাশি ৪৩ জন আহত হয়েছেন। তবে কারাগারটি থেকে বন্দী পালানোর ঝুঁকি দেখা দেয়নি। একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই কারাগারে ২৭৪ জন আসামি সাজা খাটছেন। তবে কোনো রুশ যুদ্ধবন্দী নেই।

গতকাল সোমবার রাতে ইউক্রেনে আরও ৩৭টি ড্রোন ও ২টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী। এর মধ্যে ৩২টি ড্রোন আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিহত করার দাবি করা হয়েছে। একটি ড্রোন নিপ্রোপেত্রোভস্ক অঞ্চলের কামিয়ানস্কে শহরের একটি হাসপাতালে আঘাত হানে। এতে ২২ জন আহত হন।

হাসপাতালে ওই হামলায় অন্তঃসত্ত্বা এক নারী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলেনস্কি। খারকিভ অঞ্চলে আলাদা একটি হামলায় আরও ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া সোমবার রাতে রাশিয়ার রোস্তভ অঞ্চলে ইউক্রেন ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এতে একজন নিহত হয়েছেন।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় বসে এ যুদ্ধ থামাতে তৎপর হন ট্রাম্প। এ নিয়ে পুতিন ও জেলেনস্কির সঙ্গেও আলাপ করেছেন তিনি। তবে কোনো অগ্রগতি আসেনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে সপ্তাহ দুয়েক আগে যুদ্ধ থামাতে পুতিনকে ৫০ দিনের সময় দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর ব্যত্যয় হলে নিষেধাজ্ঞার হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন

এরপর গত সোমবার যুদ্ধ থামানোর জন্য পুতিনকে ১০ থেকে ১২ দিনের সময় বেঁধে দেন ট্রাম্প। স্কটল্যান্ড সফরের সময় তিনি বলেন, ‘আমি আসলেই ভেবেছিলাম এটি (যুদ্ধ) শেষ হতে চলেছে। যতবারই ভেবেছি এটি শেষ হবে, ততবারই তিনি (পুতিন) মানুষ হত্যা করেছেন। আমি তাঁর সঙ্গে আর কথা বলতে চাই না।’