গ্রিনল্যান্ডে গোপন তৎপরতা, মার্কিন শীর্ষ দূতকে তলব করেছে ডেনমার্ক
কোপেনহেগেনে নিযুক্ত মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে তলব করেছে ডেনমার্ক। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা গ্রিনল্যান্ডে গোপন তৎপরতা চালাচ্ছেন—এমন অভিযোগে দেশটিতে নিযুক্ত শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিককে বুধবার তলব করেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ডেনমার্কের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম ‘ডিআর’ একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে এ গোপন তৎপরতার খবর জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন নাগরিকদের উদ্দেশ্য গ্রিনল্যান্ডের সমাজে ঢুকে পড়া এবং ডেনমার্ক থেকে দ্বীপটিকে বিচ্ছিন্ন করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একীভূত করার পক্ষে প্রচার চালানো। তবে ওই ব্যক্তিরা কারা, তা প্রতিবেদনে স্পষ্ট করা হয়নি।
ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোক্কে রাসমুসেন বলেন, রাষ্ট্রের (ডেনমার্ক) অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করার যেকোনো চেষ্টা অগ্রহণযোগ্য। এ অবস্থান থেকেই মার্কিন কূটনীতিককে তলব করা হয়েছে।
এদিকে ডেনমার্কের গোয়েন্দা সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, বিভিন্ন ধরনের প্রচারণা চালানোর জন্য গ্রিনল্যান্ডকে নিশানা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্য জানার জন্য ডেনমার্কে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল বিবিসি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন সময় বলেছেন, ডেনমার্কের আধা স্বায়ত্তশাসিত গ্রিনল্যান্ডের দখল নিতে চান তিনি। কোপেনহেগেন এই অঞ্চলে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করছে না বলে অভিযোগ করেছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স।
কয়েক মাস আগে গ্রিনল্যান্ড সফর করেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন। ওই সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বলেন, ‘আপনারা অন্য কোনো দেশকে নিজ ভূখণ্ডের সঙ্গে একীভূত করতে পারেন না।’
ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বিবিসিকে বলেন, বিভিন্ন বিদেশি শক্তি গ্রিনল্যান্ডের বিষয়ে এবং সেখানে ডেনমার্কের অবস্থান নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এ বিষয়ে সরকার অবগত।
ডেনমার্ক পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রকে অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে দেখে এসেছে দেশটি। কিন্তু দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর গ্রিনল্যান্ড দখলে ট্রাম্পের পরিকল্পনায় ডেনিশরা অবাক হয়েছেন।