গত ২৯ জুন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে এক বৈঠকে অংশ নেন রুস্তম উমেরভ
ছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে ওলেক্সি রেজনিকভকে বরখাস্ত এবং রুস্তম উমেরভকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করার প্রস্তাবটি দেশটির পার্লামেন্টে অনুমোদন পেয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে রেজনিকভের কাছ থেকে উমেরভের ক্ষমতা গ্রহণের পথটি পরিষ্কার হলো।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রোববার বলেন, তিনি ওলেক্সি রেজনিকভকে বরখাস্ত করছেন এবং রুস্তম উমেরভকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে তাঁদের বর্তমান পদ থেকে সরাতে হলে পার্লামেন্টের অনুমোদনের বাধ্যবাধকতা আছে। এ ছাড়া উমেরভকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্যও পার্লামেন্টের অনুমোদনের প্রয়োজন।

আরও পড়ুন

ভাগনার বিদ্রোহের পর থেকে ‘অদৃশ্য’ হওয়া রুশ জেনারেল সুরোভিকিনকে দেখা গেল ছবিতে

মঙ্গলবার পার্লামেন্টে আলাদা দুটি ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিয়োগপ্রক্রিয়ার প্রথম ধাপটি শেষ হয়েছে। আজ বুধবার ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে উমেরভের নিয়োগ চূড়ান্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

রেজনিকভ সোমবার পদত্যাগ করেছেন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে পশ্চিমা অস্ত্রের জন্য প্রথম সারির তদবিরকারীদের একজন রেজনিকভ। তবে তাঁর মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার কয়েক মাস পর তাঁকে বিদায় নিতে হচ্ছে। অবশ্য তাঁকে অপসারণের কারণে সামরিক কার্যক্রমের ওপর বড় ধরনের কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করা হচ্ছে।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও নিশ্চিত করেছে, রেজনিকভকে সরিয়ে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে পার্লামেন্ট। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাঁর কাজের প্রশংসা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট দিয়েছে। ওই পোস্টে বলা হয়, ২২ মাস ধরে তিনি এ দায়িত্ব পালন করেছেন এবং মুক্ত বিশ্বের কাছ থেকে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর জন্য অস্ত্র সরবরাহ নিশ্চিত করার মতো অসম্ভব কাজকে সম্ভব করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন

আরও ভূখণ্ড দখলমুক্ত করার দাবি ইউক্রেনের

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ইউক্রেনের বিজয়কে অনিবার্য করে তুলবে। যদিও এখন পর্যন্ত এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের সরবরাহ পায়নি কিয়েভ।

৪১ বছর বয়সী সাবেক আইনপ্রণেতা রুস্তম উমেরভ ক্রিমিয়ার তাতার জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। ২০২০ সাল থেকে ক্রিমিয়াকে দখলমুক্ত করার কৌশল প্রণয়নসংক্রান্ত সরকারি টাস্ক ফোর্সের সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।