ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা কারা দেবে, জানিয়ে দিল রাশিয়া

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভফাইল ছবি: এএফপি

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশের ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়া উচিত। গতকাল রোববার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে গত সপ্তাহে বলা হয়, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কয়েকটি দাবি জানিয়েছেন। যেমন—ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়া। এ ছাড়া দাবির মধ্যে রয়েছে—দেশটির ন্যাটোতে যোগদানের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করা, নিরপেক্ষ থাকা এবং ইউক্রেন থেকে পশ্চিমা সেনাদের সরিয়ে নেওয়া। বিষয়টির সঙ্গে জানাশোনা রয়েছে ক্রেমলিনের উচ্চপর্যায়ের এমন তিনটি সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানায় রয়টার্স।

এনবিসি নিউজের ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে লাভরভ বলেন, ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। পুতিনের পক্ষ থেকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে হওয়া ব্যর্থ আলোচনার বিষয়টিও তোলা হয়েছে।

এসব আলোচনায় সংঘাতে জড়িয়ে থাকা দেশ দুটির মধ্যে ইউক্রেনের স্থায়ী নিরপেক্ষতার বিষয়ে আলাপ হয়। বলা হয়, কয়েকটি দেশের কাছ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পাওয়ার শর্তে স্থায়ীভাবে নিরপেক্ষ থাকতে রাজি হয় ইউক্রেন। এর মধ্যে নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য—যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ রয়েছে। ২০২২ সালেই রয়টার্স এমন একটি চুক্তির খসড়া দেখার কথা জানায়।

লাভরভ এনবিসি নিউজকে আরও বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশসহ কয়েকটি দেশের ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তাদাতা হওয়া উচিত। এসব দেশের মধ্যে জার্মানি, তুরস্কসহ অন্যান্য কয়েকটি দেশের থাকা উচিত।

আরও পড়ুন

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রকাশিত লাভরভের সাক্ষাৎকারের অনুলিপিতে উল্লেখ রয়েছে, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়া দেশগুলো ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এ ক্ষেত্রে তাদের অবশ্যই নিরপেক্ষ থাকতে হবে। কোনো সামরিক জোটভুক্ত হওয়া চলবে না। পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত থাকতে হবে।

লাভরভ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোয় ইউক্রেনের সদস্যপদ পাওয়ার বিষয়টি রাশিয়ার কাছে পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের রুশভাষী মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চায় রাশিয়া। এ ছাড়া ইউক্রেনের সঙ্গে সীমান্ত নিয়েও আলোচনা করা দরকার।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন