ইউক্রেন সফরে গেলেন প্রিন্স হ্যারি
ইউক্রেন সফরে গেছেন প্রিন্স হ্যারি। গতকাল শুক্রবার তিনি তাঁর দাতব্য সংস্থা ‘ইনভিক্টাস গেমস ফাউন্ডেশন’–এর একটি দল নিয়ে কিয়েভ পৌঁছান। সেখানে তাঁরা ইউক্রেনের আহত সেনাদের পুনর্বাসনে সহায়তার পরিকল্পনা তুলে ধরেন বলে তাঁর দপ্তরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের ছোট ছেলে প্রিন্স হ্যারি। এ বছর এটি তাঁর দ্বিতীয়বার ইউক্রেন সফর। এর আগে গত এপ্রিল মাসে তিনি লিভিভে আহত সেনাদের একটি পুনর্বাসন কেন্দ্র পরিদর্শন করেছিলেন।
এবারের সফরে প্রিন্স হ্যারি কিয়েভে রাশিয়ার হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলোর মধ্যে একটি পরিদর্শন করেছেন বলে জানান কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান তিমুর তকাচেঙ্কো।
আমাদের বেদনার প্রতি তাঁর মনোযোগ ও আন্তরিক সহমর্মিতার জন্য আমরা প্রিন্স হ্যারির প্রতি কৃতজ্ঞ।
বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে এক পোস্টে তকাচেঙ্কো বলেন, সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাওয়া ঘরবাড়িই সবকিছু বলে দেয়। এর জন্য কোনো নির্দিষ্ট ভাষার প্রয়োজন হয় না। আমাদের বেদনা বোঝানোর জন্য তাই কোনো অনুবাদেরও প্রয়োজন হয়নি। তিনি আরও লেখেন, ‘আমাদের বেদনার প্রতি তাঁর মনোযোগ ও আন্তরিক সহমর্মিতার জন্য আমরা প্রিন্স হ্যারির প্রতি কৃতজ্ঞ।’
ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে ১০ বছর কাজ করেছেন প্রিন্স হ্যারি। তাঁর দাতব্য সংস্থা ‘ইনভিক্টাস গেমস ফাউন্ডেশন’ যুদ্ধাহত সেনাদের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
স্ত্রী মেগান ও দুই সন্তানকে নিয়ে প্রিন্স হ্যারি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাস করেন। চার দিনের সফরে তিনি যুক্তরাজ্যে এসেছিলেন। সেখান থেকে ক্যালিফোর্নিয়া ফিরে যাওয়ার আগে কিয়েভে যান তিনি।
২০২০ সালে ব্রিটিশ রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যের পদ থেকে সরে দাঁড়ান প্রিন্স হ্যারি। নিজের স্মৃতিকথায় রাজপরিবারের সমালোচনা করেছেন ও অন্দরমহলের অনেক কথা প্রকাশ্যে এনেছেন তিনি।
রাজপরিবার ছেড়ে যাওয়ার পর বাবা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ে। তবে ইদানীং সেই দূরত্ব ঘোচার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। গত বুধবার বাবা চার্লসের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এটা ছিল ২০ মাসের মধ্যে বাবা-ছেলের প্রথম সাক্ষাৎ।