টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও দুই পশ্চিমা দেশের

টিকটক
প্রতীকী। ছবি: রয়টার্স

সরকারি যেকোনো ডিভাইসে চীনা ভিডিও অ্যাপ টিকটকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। নিউজিল্যান্ডও আইনপ্রণেতাদের ব্যবহৃত ডিভাইস থেকে টিকটক তুলে নেবে বলেছে। এর আগে একই পদক্ষেপ নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্র।

এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের ক্যাবিনেট অফিস-বিষয়ক মন্ত্রী অলিভার ডওডেন পার্লামেন্টে বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে হবে। স্পর্শকাতর সরকারি তথ্যের বিষয়ে তৃতীয় পক্ষ নিয়ন্ত্রিত অ্যাপগুলো থেকে প্রাপ্ত ঝুঁকি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়নের পর এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

অলিভার ডওডেন আরও জানান, সরকারি ডিভাইসে কী কী অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে, তার একটি তালিকা করা হবে। সেই তালিকায় নাম নেই, এমন কোনো অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে না।

তবে এ তালিকার অ্যাপগুলো শুধু মন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের সরকারি ডিভাইসে ব্যবহার করতে হবে। এসব ব্যক্তিরা তাঁদের ব্যক্তিগত ডিভাইসে ইচ্ছামতো অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন।

নিউজল্যান্ডের পার্লামেন্টারি সার্ভিসের প্রধান নির্বাহী রাফায়েল গনজালেন মনতেরো বলেছেন, পার্লামেন্টের নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত এমন সব ডিভাইসে টিকটকের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। ৩১ মার্চ এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে।

আরও পড়ুন

গত বছর ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে এক ভোটাভুটির মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যবহার করা ডিভাইসগুলোয় টিকটক বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি ৬০ দিনের মধ্যে সব সরকারি সংস্থাকে জানানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। মার্কিন প্রশাসনের অভিযোগ, ব্যবহারকারীদের তথ্য টিকটক কর্তৃপক্ষ চীন সরকারের হাতে তুলে দেয়।

তবে টিকটকের মালিকানা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স বলে আসছে, তাদের তৈরি অ্যাপটি গুপ্তচরবৃত্তির জন্য ব্যবহার করা হয় না। এ অ্যাপ নিয়ে নিরাপত্তাসংক্রান্ত যেসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা ভুল–বোঝাবুঝি থেকে সৃষ্টি হয়েছে।