অবরুদ্ধ কারখানা থেকে ২৬৪ ইউক্রেনীয় সেনাকে সরানো হলো

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ইউক্রেনীয় সেনাদের বহনকারী প্রায় ১২টি বাস দক্ষিণাঞ্চলীয় এই বন্দরনগরীর বিশাল শিল্পাঞ্চলটি ছেড়ে গেছে
ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনের মারিউপোল শহরের অবরুদ্ধ ইস্পাত কারখানা থেকে ২৬৪ ইউক্রেনীয় সেনাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইউক্রেন। দুই মাসের বেশি সময় ধরে তাঁরা সেখানে আটকে ছিলেন। খবর বিবিসির।

ইউক্রেনের উপপ্রতিরক্ষা মন্ত্রী হান্না মালিয়ার বলেছেন, গুরুতর আহত ৫৩ সেনাকে রুশ-সমর্থিত বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত নভোয়াজোভস্ক শহরে নেওয়া হয়েছে। বাকি ২১১ সেনাকে মানবিক করিডর ব্যবহার করে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত আরেক শহর ওলেনিভকায় নেওয়া হয়।

এর আগে রাশিয়া জানিয়েছিল, আহত সেনাদের ইস্পাত কারখানা থেকে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে একটি সমঝোতা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ইউক্রেনীয় সেনাদের বহনকারী প্রায় ১২টি বাস দক্ষিণাঞ্চলীয় এই বন্দরনগরীর বিশাল শিল্পাঞ্চলটি ছেড়ে গেছে। অবরুদ্ধ কারখানার ভূগর্ভস্থ বাংকারে তাঁরা আটকে পড়েছিলেন।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলো ভিডিও ফুটেজ প্রচার করে জানায়, আহত ইউক্রেনীয় সেনাদের আজভস্তাল থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

মালিয়ার জানিয়েছেন, আটক রুশ সেনাদের হস্তান্তরের বিনিময়ে এই সেনাদের ফিরিয়ে আনা হবে। সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে ভিডিও ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও আলোচক টিমের পাশাপাশি রেড ক্রস ও জাতিসংঘ সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিল। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের তার নায়কদের জীবিত পাওয়া প্রয়োজন রয়েছে।’

মার্চের শুরুতে রুশ বাহিনীর অগ্রগামী সেনারা দক্ষিণাঞ্চলীয় মারিউপোল শহরটি ঘিরে ফেলে। এর পর থেকে আজভ রেজিমেন্ট, ন্যাশনাল গার্ড, পুলিশ, আঞ্চলিক প্রতিরক্ষাবাহিনীর সদস্যসহ কয়েক শ ইউক্রেনীয় সেনার পাশাপাশি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বেসামরিক নাগরিক বিশাল এই শিল্পাঞ্চলে আটকে পড়েন। এখনো সেখানকার ভূগর্ভস্থ বাংকারে কতজন অবস্থান করছেন, তাৎক্ষণিকভাবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

রাশিয়া ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে। মস্কোর দাবি, ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার পদক্ষেপ তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাশাপাশি শুরুতে উত্তর, পূর্ব ও তিন দিক থেকে স্থল অভিযানও শুরু করে রাশিয়া। তবে পশ্চিমা অস্ত্র সহায়তা পেয়ে ইউক্রেনীয় বাহিনী তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুললে উত্তর দিক থেকে সেনা সরিয়ে পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে অভিযান জোরদারে নজর দেয় রুশ বাহিনী।

আরও পড়ুন