ইতিহাসের এই দিনে: মানুষের সেবায় ভারতে থাকার সিদ্ধান্ত মাদার তেরেসার
বিশ্বে প্রতিদিন নানা ঘটনা-দুর্ঘটনা ঘটে। উদ্ভাবন-উন্মোচন ঘটে অনেক কিছুর। জন্ম ও মৃত্যু হয় অনেকের। রোজকার সব ঘটনা কি আমরা মনে রাখি? তবে কিছু বিষয় স্থায়ীভাবে দাগ কাটে মানুষের মনে, কিছু কিছু ঘটনা ইতিহাসের পাতায় উঠে যায়। তেমনই কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। আজ ১০ সেপ্টেম্বর। চলুন দেখি, বিশ্বে এদিন কী বড় বড় ঘটনা ঘটেছিল। ‘অন দিস ডে: আ হিস্ট্রি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন ৩৬৬ ডেজ’ বই থেকে অনুবাদ করেছেন অনিন্দ্য সাইমুম।
দরিদ্র ও আর্তমানুষের সেবায় সারা জীবন কাজ করে গেছেন মাদার তেরেসা। ভারতবর্ষ ঘুরে ঘুরে নীল পাড়ের সাদা শাড়ি পরা মাদার তেরেসা মানুষের সেবা করেছেন। কলকাতায় গড়ে তুলেছেন জনহিতৈষী প্রতিষ্ঠান মিশনারিজ অব চ্যারিটি।
জন্মভূমি আলবেনিয়া থেকে মানবসেবার ব্রত নিয়ে ভারতে এসেছিলেন মাদার তেরেসা। সেখানকার গরিব ও অসুস্থ মানুষের কষ্ট ক্যাথলিক এই নানের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। ১৯৪৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর তিনি কলকাতা থেকে ট্রেনে দার্জিলিং যাচ্ছিলেন। ওই সময় ট্রেনে বসে তিনি ভারতে রয়ে যাওয়া ও মানুষের কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করার সিদ্ধান্ত নেন।
এর পরের ইতিহাস সবার জানা। মানবসেবায় নজির গড়েছেন মাদার তেরেসা। পেয়েছেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার। ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি। ২০১৬ সালে ভ্যাটিকান সিটিতে পোপ ফ্রান্সিস মাদার তেরেসাকে সন্ত হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
১৯৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর শেষনিশ্বাস ত্যাগের পর মাদার তেরেসাকে কলকাতায় মিশনারিজ অব চ্যারিটির মাদার হাউসে সমাহিত করা হয়েছে।
প্রথম ডিএনএ আবিষ্কার
ব্রিটিশ জিনতত্ত্ববিদ অ্যালেক জেফরিস চিকিৎসাবিজ্ঞানে অনন্য একটি আবিষ্কার করেছেন। ১৯৮৪ সালের এই দিনে তিনি ডিএনএ আবিষ্কার করেন। এর মধ্য দিয়ে কোনো ব্যক্তির পরিচয় নির্ধারণের বৈজ্ঞানিক পথ খুলে যায়। চিকিৎসাজগতে ফরেনসিক কাজের পাশাপাশি অপরাধজগতের সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তে এই আবিষ্কার ব্যাপক কাজে লাগে।
অলিম্পিকে আফ্রিকান খেলোয়াড়ের প্রথম সোনা জয়
ইথিওপিয়ার খেলোয়াড় আবেবে বিকিলা। ম্যারাথনে দৌড়ান তিনি। ১৯৬০ সালের এই দিনে তিনি অলিম্পিকের আসরে ম্যারাথনে সোনা জিতে নেন। অলিম্পিকের ইতিহাসে এটাই কোনো আফ্রিকান খেলোয়াড়ের প্রথম সোনা জয়ের ঘটনা।
প্রথম চীনা শাসকের মৃত্যু
চীনের কিন সাম্রাজ্যের শাসক ছিলেন কিন শি হুয়াং। ঐক্যবদ্ধ চীনের প্রথম শাসক ধরা হয় তাঁকে। ২১০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের এই দিনে সম্রাট কিম শি হুয়াং মারা যান।