বিপুল ভোটে হারলেন বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানি

বিজেপি নেত্রী ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী স্মৃতি ইরানিফাইল ছবি: এএফপি

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে হারিয়ে চমক দেখানো বিজেপি নেত্রী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এবার বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন। উত্তর প্রদেশের আমেথি আসনে কংগ্রেস প্রার্থী কিশোরী লাল শর্মার সঙ্গে তাঁর ভোটের ব্যবধান দেড় লাখের বেশি।

ভারতের নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবারের লোকসভা নির্বাচনে কিশোরী লাল পেয়েছেন ৫ লাখ ৩৯ হাজার ২২৮ ভোট। অপর দিকে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী স্মৃতি ইরানি পেয়েছেন ৩ লাখ ৭২ হাজার ৩২ ভোট। এ হিসাবে কিশোরী লাল ১ লাখ ৬৬ হাজার ২২ ভোট বেশি পেয়েছেন।

আরও পড়ুন

ফলাফল ঘোষণার পর নিজের পরাজয় মেনে নিয়েছেন স্মৃতি ইরানি। তিনি বলেছেন, ‘আমি জনরায় মেনে নিচ্ছি। গত ৩০ বছরে জমে থাকা কাজ সরকার মাত্র পাঁচ বছরে শেষ করায় আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী (উত্তর প্রদেশ) যোগী আদিত্যনাথের প্রতি কৃতজ্ঞ। যাঁরা জয় পেয়েছেন, তাঁদের অভিবাদন জানাই।’

এই জয় ‘গান্ধী পরিবার ও আমেথির জনগণের’ বলে মন্তব্য করেছেন কিশোরী লাল। আর কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘কিশোরী ভাইয়া, শুরু থেকেই আমি নিশ্চিত ছিলাম আপনি জিতবেন। এ নিয়ে আমার কখনো সন্দেহ ছিল না। আপনি এবং আমেথিতে আমার প্রিয় ভাই-বোনদের প্রতি রইল হৃদয় নিংড়ানো অভিবাদন।’

আরও পড়ুন

কিশোরী লাল শর্মার জন্ম পাঞ্জাবের লুধিয়ানায়। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর একজন বিশ্বস্ত সহযোগী ছিলেন তিনি। আমেথি আসন থেকে ১৯৮১, ১৯৮৪, ১৯৮৯ ও ১৯৯১ সালে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন রাজীব গান্ধী। এ আসনের কাজকর্ম তাঁর হয়ে দেখভালের কাজ করতেন কিশোরী লাল শর্মা।

বলা হয়, ১৯৯৯ সালে আমেথি থেকে সোনিয়া গান্ধীর জয়ে বড় ভূমিকা ছিল কিশোরী লাল শর্মার। ২০০৪ সালের নির্বাচনে ছেলে রাহুল গান্ধীর জন্য আসনটি ছেড়ে দেন সোনিয়া। সেই বছর উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলি আসন থেকে লড়েন তিনি। এরপর দুই আসনে দেখভাল করতেন কিশোরী লাল।

আরও পড়ুন

আমেথি ও রায়বেরেলিকে গান্ধী পরিবারের ঘাঁটি বলা হয়। তবে গত নির্বাচনে এই আসনে রাহুল গান্ধীকে হারান স্মৃতি ইরানি। ভাই রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেস পরিবারের বিশ্বস্ত কিশোরী লালের জন্য এবার এই দুই আসনে ব্যাপক প্রচারণা চালান প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন