হরিয়ানায় সাম্প্রদায়িক সংঘাতে উসকানিদাতা মনু গ্রেপ্তার

হরিয়ানা রাজ্যের নুহ জেলায় সহিংসতার সময় পুড়িয়ে দেওয়া বাস সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ১ আগস্ট
ছবি: এএনআই

হরিয়ানার মুসলমান অধ্যুষিত নুহ জেলায় সাম্প্রদায়িক সংঘাতে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ ছিল যাঁর ওপর, সেই কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতা মনু মানেসরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আজ মঙ্গলবার রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

পুলিশ জানায়, আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মনু মানেসরকে রাজস্থান পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে। রাজস্থানের দুই যুবককে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

গত ৩১ জুলাই হিন্দুদের এক ধর্মীয় শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে নুহ জেলায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। সেই উত্তেজনা সংঘর্ষে পরিণত হয়। তাতে মারা যান ছয়জন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন ছিলেন পুলিশ কর্মী। অভিযোগ, ওই শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে মনু মানেসর সামাজিক মাধ্যমে ঘৃণা ও উত্তেজনা ছড়িয়েছিলেন। ওই ঘটনায় বিট্টু বজরঙ্গী নামের আরও একজনের নাম জড়িয়ে গিয়েছিল। অভিযোগ, তাঁরা দুজনেই বজরঙ্গ সেনা সংগঠনের নেতা। বিট্টু বজরঙ্গীকে পরে গ্রেপ্তার করা হলেও মনু মানেসর এত দিন অধরা ছিলেন।

মনু মানেসর একজন স্বঘোষিত গোরক্ষক। অভিযোগ, রাজস্থানের ভরতপুর জেলার দুই যুবক নাসির (২৫) ও জুনায়েদকে (৩৫) গরু পাচারের দায়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মনু মানেসর অপহরণ করেন। পরের দিন হরিয়ানার ভিওয়ানি জেলায় একটি জ্বলন্ত গাড়ির ভেতর তাঁদের মৃতদেহ পাওয়া যায়। মনু মানেসর তাঁদের হত্যা করেন বলে রাজস্থান পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়। তাঁকে ধরতে রাজস্থান পুলিশের দল বিজেপিশাসিত হরিয়ানায় গিয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, হরিয়ানা পুলিশের কাছ থেকে রাজস্থান পুলিশ কোনো সহযোগিতা পায়নি।

আরও পড়ুন

নুহ জেলার সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের পর এই বিষয়টি চর্চায় উঠে আসে। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার তখন বলেছিলেন, রাজস্থান পুলিশের সঙ্গে সব রকম সহযোগিতায় তাঁর সরকার প্রস্তুত। অবশেষে দেড় মাস পর মনু মানেসরকে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া গেল। বিট্টু বজরঙ্গী গ্রেপ্তার হলেও আপাতত জামিনে মুক্ত।

আরও পড়ুন