ঝাড়খন্ডে টিকে গেল জেএমএম–কংগ্রেস জোট সরকার

ঝাড়খন্ড বিধানসভায় ভোটের পর সাবেক মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেনের (ডানে) সঙ্গে নতুন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সরেন। আজ ৫ ফেব্রুয়ারিছবি: এএনআই

পূর্ব ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের নবনিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সরেনের নেতৃত্বাধীন ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) ও কংগ্রেসের জোট সরকার আজ সোমবার দুপুরে বিধানসভায় তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পেরেছে। ৮২ সদস্যের বিধানসভায় ক্ষমতাসীন জোট ৪৭ বিধায়কের ভোট পেয়েছে। বিরোধী এনডিএ জোট পেয়েছে ২৯ ভোট।

দক্ষিণ ঝাড়খন্ডের সিংভূম অঞ্চলের আদিবাসী নেতা চম্পাই সরেন গত সপ্তাহে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেনের জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী হন। জমি কেলেঙ্কারির সূত্রে অর্থ পাচারের মামলায় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) হেমন্তকে গ্রেপ্তার করে। জেএমএমের কার্যনির্বাহী সভাপতি এবং বিধায়ক হিসেবে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের সময় ভোট ও ভাষণ দিতে হেমন্ত সরেন উপস্থিত ছিলেন।

হেমন্ত সরেন ভাষণে ঝাড়খন্ডের রাজ্যপাল সি পি রাধাকৃষ্ণানকে তাঁর গ্রেপ্তারের জন্য দায়ী করেন। রাজ্যপাল গ্রেপ্তারের এই ষড়যন্ত্র রচনা করেছিলেন বলে অভিযোগ করেন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের রাজ্যপালদের নির্বাচিত করে রাজ্যে নিয়োগ করেন।

আজ সোমবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য আস্থা ভোট শুরুর আগে হেমন্ত সরেন ভাষণে বলেন, ‘গত ৩১ জানুয়ারি রাতে দেশ প্রথমবারের মতো একজন মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেপ্তার দেখল। আমি বিশ্বাস করি, রাজভবনও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল।’

হেমন্ত বলেন, ‘দেশে বর্তমান সরকারের অধীনে উপজাতি ও দলিতরা নিরাপদ নয়, এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত। আমি আরও শক্তি নিয়ে বিধানসভায় ফিরে আসব। বিরোধীদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করা হবে।’

হেমন্ত সরেন বর্তমানে পাঁচ দিনের জন্য ইডির হেফাজতে রয়েছেন।
ভাষণে নতুন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সরেন বলেন, তাঁর পূর্বসূরি হেমন্তকে ফাঁসাতে কেন্দ্রীয় সরকার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে পুরোপুরি ব্যবহার করেছে।

চম্পাই বলেন, বিজেপি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত ও সম্পূর্ণ স্থিতিশীল ঝাড়খন্ড সরকারকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যেই যে এ কাজ করেছে, তা গোটা দেশ বুঝেছে।
ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার নেতৃত্বাধীন এই সরকারের বড় শরিক কংগ্রেস। ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার মোট বিধায়কের সংখ্যা ২৮ ও কংগ্রেসের ১৭। কংগ্রেসের বিধায়কেরা ভোট দিয়েছেন জোট সরকারের পক্ষেই।

আরও পড়ুন

এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, ‘কোনো সন্দেহই ছিল না, জোট সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবে। আমরা আগেই বলেছিলাম, আমরা এই আস্থা ভোট ভালো সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই জিতব এবং সেটাই হয়েছে। ৪৭ বিধায়ক সমর্থনে ছিলেন। “অপারেশন কিচর”(আবর্জনা) ব্যর্থ হয়েছে।’

আরও পড়ুন