মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নত করতে জাতিসংঘে ভারতকে আহ্বান

প্রতীকী ছবি, ছবি: রয়টার্স

মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক হতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো। বিতর্কিত সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ব্যবহার কমানোর পাশাপাশি যৌন নিপীড়ন এবং ধর্মীয় বৈষম্যের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা। জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের সর্বজনীন নিয়মিত পর্যালোচনায় (ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ-ইউপিআর) এ আহ্বান জানানো হয়েছে। খবর আল–জাজিরার

জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে প্রতি চার বছর অন্তর ইউপিআর হয়ে থাকে। এটি সদস্য দেশগুলোর মানবাধিকারের রেকর্ড খতিয়ে দেখার একটি পদ্ধতি। পর্যালোচনায় থাকা দেশ নিয়ে জাতিসংঘের যেকোনো সদস্য দেশ প্রশ্ন করতে কিংবা সুপারিশ করতে পারে।

গত বৃহস্পতিবার ছিল ভারতের চতুর্থ ইউপিআর। এদিন জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো ভারতকে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নের পাশাপাশি ‘সন্ত্রাসবিরোধী আইনের’ ব্যবহার কমাতে আহ্বান জানিয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী এবং মানবাধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধে আইনটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাঁদের ন্যায়বিচার পাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় না।

আরও পড়ুন

মানবাধিকার পরিষদে নিয়োজিত মার্কিন দূত মিশেল টেইলর বলেন, ‘আমাদের সুপারিশ হলো, ভারত যেন মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অবৈধ কর্মকাণ্ড (প্রতিরোধ) আইনসহ (ইউএপিএ) একই ধরনের আইনগুলোর প্রয়োগ কমিয়ে দেয়।’

ইউএপিএ হলো ভারতের একটি ‘সন্ত্রাসবিরোধী আইন’ যার আওতায় কর্তৃপক্ষ কাউকে সন্দেহের ভিত্তিতে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিতে পারে এবং জামিন না দিয়ে মাসের পর মাস আটকে রাখতে পারে। এ আইনটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং মানবাধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধে অপব্যবহারের কারণে সমালোচিত।

২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ ইউপিআর-এ যে সুপারিশগুলো করা হয়েছিল তার কিছু কিছু বাস্তবায়ন করতে পারায় বেশ কয়েকটি দেশ ভারতের প্রশংসা করেছে। অন্য দেশগুলো ভারতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়া, মুক্তমত বাধাগ্রস্ত হওয়া এবং নারীর প্রতি সহিংসতার কথা উল্লেখ করে সমালোচনা করেছেন।

এপ্রিলের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক কমিশন (ইউএসসিআইআরএফ) অভিযোগ তুলেছিল, ভারত ধর্মীয় স্বাধীনতার গুরুতর লঙ্ঘন হচ্ছে।