ভারতের উপরাষ্ট্রপতি হলেন জগদীপ ধনকড়
ভারতের উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হলেন বিশিষ্ট আইনজীবী জগদীপ ধনকড়। প্রতিপক্ষ মার্গারেট আলভাকে বড় ব্যবধানে হারালেন পশ্চিমবঙ্গের সাবেক রাজ্যপাল।
উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য প্রয়োজন ছিল ৩৭১টি ভোট। ধনখড় পেয়েছেন ৫২৮টি ভোট। মোট ভোটের ৭০ শতাংশ। আলভা পেয়েছেন ১২৮ ভোট। ভোটের নিরিখে বিদায়ী উপরাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডুকেও পিছনে ফেলে দিয়েছেন ধনকড়। তাঁর থেকে প্রায় দু’শতাংশ বেশি ভোট পেয়েছেন ধনখড়।
বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডুর মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১০ আগস্ট। নতুন উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে জগদীপ ধনকড় শপথ নেবেন ১১ আগস্ট।
ধনকড়ের প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস নেত্রী মার্গারেট আলভাকে সমর্থন করেছিল ডিএমকে, আরজেডি, সমাজবাদী পার্টি, এনসিপি ও বামপন্থী দলগুলোর মতো পরিচিত বিজেপিবিরোধীরা। এ ছাড়া জেএমএম, আম আদমি পার্টি, টিআরএস ও উদ্ধব ঠাকরের অনুগামী শিবসেনার সদস্যরাও আলভাকে সমর্থন জানান।
ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভার ৫৪৩ ও উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার ২৪৫ জন সদস্যের ভোটে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। সংসদে এই মুহূর্তের শূন্য পদের সংখ্যা ৮। তৃণমূল কংগ্রেস এই নির্বাচনে কোনো পক্ষকে সমর্থন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় মোট ভোটার সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৭৪৪। গতকাল সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে ক্ষুদ্র জনজাতিভুক্ত সাঁওতালি নারী রাজনীতিক দ্রৌপদী মুর্মুকে পছন্দ করার মধ্য দিয়ে বিজেপি যেমন দেশের ৯ শতাংশ মানুষের সমর্থন আদায় করতে চেয়েছে, তেমনই রাজস্থানের জাট কৃষকসন্তান জগদীপ ধনকড়কে উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে বেছে বিক্ষুব্ধ কৃষক সমাজের সমর্থন আদায়ে তারা সচেষ্ট।
রাহুল, প্রিয়াঙ্কাকে মুক্তি
মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বের বিরুদ্ধে গত শুক্রবার দিল্লিতে বিক্ষোভ প্রদর্শনকালে রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে আটক করে পুলিশ। পরে ওই দিনই ছয় ঘণ্টা পর তাঁদের মুক্তি দেয় পুলিশ।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও করার কর্মসূচি ছিল কংগ্রেসের। সংসদ ভবন থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত মিছিল করে যাওয়ার কথা ছিল লোকসভা এবং রাজ্যসভার সংসদ সদস্যদের।