আজ কলকাতায় আসছে করোনা ভ্যাকসিন

২ জানুয়ারি দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৫১৭ কেন্দ্রে টিকাকরণ কর্মসূচির মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছিল
ফাইল ছবি

কলকাতায় আজ শুক্রবার আসছে করোনা টিকা কোভিশিল্ড। বিশেষ বিমানে করে মহারাস্ট্রের পুণে থেকে আসছে এই টিকার ৬ লাখ ডোজ। টিকা আসার পরই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের প্রতিটি জেলার তিনটি স্থানে করোনা টিকার মহড়া বা ড্রাই রান অনুষ্ঠিত হবে। বিভিন্ন জেলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং যেখানে মেডিকেল কলেজ নেই, সেখানে জেলা হাসপাতালসহ নির্দিস্ট কিছু স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হবে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে ভারতে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ায় (এসআইআই) প্রস্তুত হয় করোনা প্রতিষেধক ‘কোভিশিল্ড’।


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে জানিয়েছে, দমদম বিমানবন্দর থেকে এই টিকা নিয়ে যাওয়া হবে কলকাতার বাগবাজার ও হেস্টিংস–এর টিকা সংরক্ষণ কেন্দ্রে। এখান থেকে কিছু টিকা পাঠানো হবে ভারতের উত্তর–পূর্বের কিছু রাজ্যে। সংরক্ষণ কেন্দ্রে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখা হবে এই টিকা।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, আজ গোটা ভারতের ৭৩৬টি জেলায় চলবে এই করোনা টিকার মহড়া বা ড্রাই রান।

গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার করোনার দুটি টিকা কোভিশিল্ড ও কো-ভ্যাক্সিন মানবদেহে প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে। তাই অনুমতি পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে ভারতে টিকাদান কর্মসূচি শুরুর যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। তবে তিনি নির্দিস্ট দিনের কথা বলেননি। কো-ভ্যাক্সিন তৈরি করেছে ভারতের ভারত বায়োটিক ওষুধ প্রস্তুকারী সংস্থা।

এ মাসের ২ তারিখ দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৫১৭ কেন্দ্রে টিকাকরণ কর্মসূচির মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তাতে পশ্চিমবঙ্গের তিনটি কেন্দ্র কলকাতার সল্টলেকের দত্তাবাদ, উত্তর চব্বিশ পরগনার আমতা এবং মধ্যমগ্রামেও এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, আজ গোটা ভারতের ৭৩৬টি জেলায় চলবে এই করোনা টিকার মহড়া বা ড্রাই রান।

আরেকটি সুখবর
করোনা টিকা আসার সুখবরের পাশাপাশি আরেকটি সুখবর এসেছে। পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দপ্তরের গতকাল বৃহস্পতিবার রাতের সর্বশেষ স্বাস্থ্য বুলেটিনে বলা হয়েছে, পশ্চিমঙ্গে করোনায় সংক্রমিতের সংখ্যা ও মৃত্যু কমে আসছে। গত আড়াই মাসের মধ্যে গতকাল ছিল এই রাজ্যে সর্বনিম্ন মৃত্যুসংখ্যা। সেদিন মাত্র ১৮ জনের মৃত্যু হয় ও শনাক্ত হয় ৮২১ জন। যদিও গত বছরের ১৪ অক্টোবর ছিল পশ্চিমবঙ্গে সর্বাধিক মৃত্যুসংখ্যা। ওই দিন মারা যান ৬৪ জন।

গতকাল ১ হাজার ২৯৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরেছেন। ফলে গতকাল এই রাজ্যে সংক্রমণের হার ছিল ২.৫৭ শতাংশ আর সুস্থতার হার ছিল ৯৬.৭১ শতাংশ।
এই রাজ্যে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৫৮ হাজার ১৭৩ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৮১৬ জন। মারা যান ৯ হাজার ৮৮১ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৮ হাজার ৪৭৬ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৪০ জন আর মারা গেছেন ৬ জন। উত্তর চব্বিশ পরগনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২২৩ জন আর মারা গেছেন ৪ জন। হাওড়া ও হুগলিতে মারা গেছেন ৩ জন করে, বাঁকুরা ও পশ্চিম বর্ধমানে ১ জন করে। আর রাজ্যের ২৩ জেলার মধ্যে ১৭টি জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।

আরও পড়ুন