কয়লা-কাণ্ডে অভিষেকের স্ত্রী রুজিরাকে ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই

রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়
ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গের আলোচিত কয়লা পাচার-কাণ্ডে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রায় ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (সিবিআই)। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দক্ষিণ কলকাতার হরিশ মুখার্জি রোডে রুজিরার বাসভবন শান্তিনিকেতন ভবনে যান সিবিআই কর্মকর্তারা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই জিজ্ঞাসাবাদকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন।

দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সিবিআই কর্মকর্তারা শান্তিনিকেতন থেকে বের হন। যদিও মঙ্গলবার বাড়িতে ছিলেন না রুজিরার স্বামী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ত্রিপুরার উপনির্বাচনের প্রচারে আগরতলায় গিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে আমার অবর্তমানে সিবিআই কর্মকর্তারা আমার বাসভবনে গিয়েছেন। আমি তাতে ভয় পাইনি। কোনো এজেন্সি দিয়ে আমাকে ঘায়েল করা যাবে না। আমি ন্যায়ের পথে আছি। এর জবাব পেয়ে যাবে।’

এর আগে অবশ্য অভিষেক ও তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য দিল্লি সিবিআই অফিসে তলব করা হয়েছিল। অভিষেক তাতে হাজিরা দিয়ে সিবিআইয়ের নোটিশের জবাব দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর স্ত্রী দিল্লিতে না গিয়ে কলকাতার সিবিআই দপ্তরে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন জানান। আদালত সেই আবেদনে সাড়া দিলে মঙ্গলবার রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে কলকাতার বাসভবনে যান সিবিআই কর্মকর্তারা।

পশ্চিমবঙ্গের চাঞ্চল্যকর এই কয়লা-কাণ্ডে অভিষেক, রুজিরা ছাড়াও তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতার জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ১ হাজার ৩২৩ কোটি রুপি বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ আছে, এসব অর্থ লন্ডন ও ব্যাংককের ব্যাংকে জমা করা হয়েছে। আর এই চক্রের পেছনে রয়েছেন রাজ্যের একজন নামী কয়লা মাফিয়া। তিনি আবার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের একজন শীর্ষ নেতাও। এখন পালিয়ে দেশছাড়া হয়ে বিদেশে আত্মগোপনে আছেন তিনি।

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন কয়লাখনি থেকে অবৈধভাবে কয়লা উত্তোলনের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অভিযোগ আছে, রাজ্যটির ক্ষমতাসীন দলের অনেকে অবৈধভাবে তোলা কয়লা বিক্রির সঙ্গে জড়িত। তাঁরা কয়লা বিক্রি বাবদ পাওয়া অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে ভারতের সিবিআই। এর পর থেকেই ঘটনাটি ‘কয়লা কেলেঙ্কারি’ নামে পরিচিতি পায়।

আরও পড়ুন