পরাজয়ের ভয়ে ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রামে মমতা

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
ছবি: এএনআই

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, নির্বাচনে পরাজয়ের ভয়ে মমতাকে কলকাতার ভবানীপুর আসন ছেড়ে নন্দীগ্রামে আসতে হয়েছে। এই নন্দীগ্রামেও তিনি হারবেন।

পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সময়ই নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে এ রাজ্যে এসেছেন মোদি। আজ বৃহস্পতিবার তিনি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জয়নগরে বিজেপির নির্বাচনী জনসভায় অংশ নেন। সেখানে তিনি এসব কথা বলেন।

মোদি বলেন, গত ১০ বছর বাংলার জন্য কাজ করলে দিদির আজ এ অবস্থায় পড়তে হতো না। তাই তো দিদি পরাজয়ের আশঙ্কায় নির্বাচন কমিশন আর ভোটযন্ত্রকে দায়ী করছেন। পরাজয়ের ভয়ে দিদিকে নিজের কলকাতার ভবানীপুর আসন ছেড়ে নন্দীগ্রামে আসতে হয়েছে। এই নন্দীগ্রামেই হারবেন দিদি। এই বাংলায় আর দিদির রক্তের খেলা চলবে না।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর নিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আমার বাংলাদেশ সফর মেনে নিতে পারেননি দিদি। আমি বাংলাদেশে গিয়ে যশোরেশ্বরী কালীমন্দির এবং গোপালগঞ্জের মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় স্থান গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দিতে গুরু হরিচাঁদ ঠাকুরের আশ্রমে গিয়ে গুরুর আশীর্বাদ নিয়েছি। মা কালীর আশীর্বাদ নিয়েছি, দেশবাসীর মঙ্গল কামনা করেছি। এটা কি আমার অপরাধ? হরিচাঁদ ঠাকুরকে প্রণাম করা, সম্মান জানানো, শ্রদ্ধা জানানো কি অপরাধ? তাই বলছি আমাকে গালি দেন, কিন্তু কোনো মনীষীকে গালি দেবেন না।’

পশ্চিমবঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট গ্রহণ করা হয়। আজ ভোট নেওয়া হয়েছে ৪টি জেলার ৩০টি আসনে। মোট আট ধাপে ভোট গ্রহণ শেষে আগামী ২ মে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে।

আজ বিকেলে জয়নগরের নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিয়ে মোদি বলেন, বাংলায় এবার বিজেপির ঢেউ উঠেছে। বিজেপি এই বাংলায় এবার দুই শতাধিক আসন পেয়ে সরকার গড়বে। উৎখাত হবে দিদির সরকার।

জয়নগরে জনসভায় মোদি আরও বলেন, ভোটের গতিবিধি বলছে, দিদির পরাজয় এবার নিশ্চিত। তৃণমূলের কথায় বিশ্বাস করছে না বাংলার মানুষ। এবার দিদি এই বাংলার বিজেপি নেতা-কর্মীদের হত্যার হিসাব দিতে হবে। তৃণমূল এখন বলছে, কুল কুল। সেই কুল আজ বাংলায় শূল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলার মানুষ এবার জবাব নেবে।

বন্ধ করবে এই বাংলায় দিদির অত্যাচারের খেলা, ভ্রষ্টাচারের খেলা, দুর্নীতির খেলা।
মোদি বলেন, সময় এসেছে এবার সিন্ডিকেট রাজ বিদায় দেওয়ার। দুর্নীতির অবসানের। কারণ, দিদির সরকার আম্পানের সময় দেওয়া কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।

আবাস যোজনায় গরিবদের দেওয়া অর্থ লুটপাট করেছে। বিজেপি এলে এই বাংলায় চালু করা হবে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প। এতে করে প্রত্যেক মানুষ বিনা খরচে চিকিৎসার সুযোগ পাবেন। তিনি আরও বলেন, সুন্দরবন অঞ্চল ঘিরে গড়া হবে নতুন পর্যটনকেন্দ্র। উন্নয়ন করা হবে গঙ্গাসাগরের কপিল মুনির আশ্রমেরও।
জয়নগরে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেওয়ার পর হাওড়ার উলবেড়িয়ায় আরেকটি নির্বাচনী জনসভায় অংশ নেন মোদি।