ভোটে না দাঁড়ানোয় অরুণাচলে বিধায়কের বাড়িতে আগুন

বিধায়ক লিখা সায়া। ছবি: সংগৃহীত
বিধায়ক লিখা সায়া। ছবি: সংগৃহীত

ভোটে না দাঁড়ানোর মাশুল দিতে হলো লিখা সায়াকে। সমর্থকেরা তাঁর বাড়িতেই আগুন ধরিয়ে দিল। পুড়ে ছাই শখের আসবাবপত্র। পরিস্থিতি এখনো থমথমে।

ভারতের চীন সীমান্তবর্তী অরুণাচল প্রদেশে বিধায়ক লিখা সায়া এবার বিধানসভা নির্বাচনে দলের আরও অনেকের মতোই দলীয় টিকিট পাননি। বাকিরা অবশ্য অন্য দলের হয়ে ভোটে লড়ছেন। কিন্তু তিনি রাজি নন।

আগামী ১১ এপ্রিল ভারতের প্রথম দফা সাধারণ নির্বাচনের দিন অরুণাচল প্রদেশের দুটি আসনেই ভোট হচ্ছে। লোকসভার সঙ্গে ওই দিন বিধানসভারও ভোট গ্রহণ হবে। কিন্তু তার আগে অশান্তি থামছে না রাজ্যটিতে।

লিখা সায়া ভোটে না দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়েছেন তাঁর সমর্থকেরা। গতকাল রোববার রাতে তাঁরা আগুন ধরিয়ে দেন ইয়াচুলির এই বিধায়কের ইটানগরের বাসভবনে। বিক্ষোভের আগুনে বাড়ির আসবাবপত্র সব পুড়ে ছাই। অনেক কষ্টে বাড়িটিকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছেন দমকলকর্মীরা।

গতকালের এই ঘটনার জেরে আজ সোমবার সকাল থেকেই থমথমে ইটানগরের পরিবেশ। মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও আধা সেনাবাহিনীকে।

লিখাকে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে তিনি কোনো উত্তর দেননি। এমনকি, ভোটে না দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েও এখনো মুখ খোলেননি এই বিধায়ক।

ইটানগরের পুলিশ সুপার টম্মি আমো সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। তবে কে বা কারা, কেন আগুন লাগিয়েছে, সে বিষয়ে কিছুই জানাতে পারেননি তিনি।

আজই ছিল অরুণাচল প্রদেশে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। লোকসভার দুটি আসনের পাশাপাশি বিধানসভার ৬০টি আসনের জন্য আজকের মধ্যেই মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে।

মাসখানেক আগেও অশান্তির আগুনে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে অরুণাচল। পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে চার ব্যক্তি প্রাণ হারান। রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িও ভস্মীভূত হয় অশান্তির আগুনে।

তখন অশান্তির কারণ ছিল অরুণাচলের বাইরের লোকদের স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে মর্যাদা দেওয়ার সরকারি উদ্যোগকে ঘিরে। রাজ্য সরকার অবশ্য বাধ্য হয়েছিল সেই উদ্যোগ প্রত্যাহার করতে।