রামদেবের ‘করোনার ওষুধ’ নিয়ে তোপের মুখে স্বাস্থ্যমন্ত্রী  

গত শুক্রবার রামদেব তাঁর সংস্থা পতঞ্জলি থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ওষুধ আনার ঘোষণা দেন। এ সময় তাঁর একপাশে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন (বায়ে) ও অন্যপাশে ছিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও গঙ্গাপরিশোধনমন্ত্রী নীতিন গড়করি
ছবি: এএনআই

ভারতের যোগব্যায়ামগুরু বাবা রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ওষুধ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী  হর্ষবর্ধন।

ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) প্রশ্ন তুলেছে, কীভাবে একজন স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশের মানুষের কাছে ‘মিথ্যা, বানোয়াট ও অবৈজ্ঞানিক উপায়ে তৈরি পণ্যের’ প্রচারে সহায়তা করতে পারেন।  তাঁর কাছে এ বিষয়ে জবাব চেয়েছে আইএমএ। আজ সোমবার এনডিটিভির এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়।

গত শুক্রবার রামদেব তাঁর সংস্থা পতঞ্জলি থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ওষুধ আনার ঘোষণা দেন। ওষুধের নাম করোনিল।এ সময় তাঁর একপাশে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন ও অন্যপাশে ছিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও গঙ্গাপরিশোধনমন্ত্রী নীতিন গড়করি। তাঁদের পেছনে ছিল বিশাল পোস্টার। সেখানে লেখা ছিল, ওষুধটি সার্টিফিকেট অব ফার্মাসিউটিক্যাল প্রোডাক্টের সনদপ্রাপ্ত ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস স্বীকৃত।

তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক টুইটে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। ডব্লিউএইচও সাউথ-ইস্ট এশিয়া টুইটারে লিখেছে, কোভিড-১৯ রোধী কোনো আয়ুর্বেদিক ওষুধের কার্যকারিতা তারা পর্যালোচনা করেনি বা অনুমোদন দেয়নি।

অনুষ্ঠানে হাজির করা হয় ‘বৈজ্ঞানিক গবষেণাপত্রও’
ছবি: এএনআই

আইএমএ জানায়, স্বাস্থ্যমন্ত্রী যিনি নিজেও একজন চিকিৎসক, তাঁর উপস্থিতিতে ‘গোপন ওষুধ’ নিয়ে ডব্লিউএইচও অনুমোদন দিয়েছে এমন ‘নির্জলা মিথ্যা’ কীভাবে বলা হয়, তারা হতবাক। এক বিবৃতিতে আইএমএ এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে থেকে জাতি ব্যাখ্যা দাবি করে বলে উল্লেখ করে।

বিবৃতিতে বলা হয়, একটি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে পুরো দেশের সামনে মিথ্যা অনুমাননির্ভর একটি পণ্যের ছাড় দেওয়া তাঁর জন্য কতটা যৌক্তিক? তাঁর এই কর্মকাণ্ড কীভাবে ন্যায্যতা পায়? অনৈতিক উপায়ে দেশের মানুষের জন্য একটি পণ্যকে প্রবর্তন করা কতটা নৈতিক?