ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকিতে নেতানিয়াহুর ছেলের বিয়ের আয়োজন পণ্ড

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত ইসরায়েলের সোরোকা হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। ১৯ জুন ২০২৫ছবি: রয়টার্স

ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধের ‘ব্যক্তিগত খেসারত’ বর্ণনা করতে গিয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকির কারণে তাঁর ছেলের বিয়ের আয়োজন দ্বিতীয়বারের মতো স্থগিত করতে হয়েছে।

আর এমন কথা বলে ইসরায়েলে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন নেতানিয়াহু।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ইসরায়েলের দক্ষিণের সোরোকা হাসপাতালে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। এতে হাসপাতালটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কয়েকজন আহত হন। এই ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনে গিয়ে হাসপাতালটির সামনে টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দেন নেতানিয়াহু।

সাক্ষাৎকারে যুদ্ধের ব্যক্তিগত খেসারত নিয়ে কথা বলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকে ব্যক্তিগতভাবে এ যুদ্ধে খেসারত দিচ্ছি। আর আমার পরিবারও এর ব্যতিক্রম নয়।’

আরও পড়ুন

নেতানিয়াহু বলেন, ‘ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকির কারণে আমার ছেলে আভনার দ্বিতীয়বারের মতো তার বিয়ের আয়োজন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে। এটি তার বাগ্‌দত্তার জন্যও একটি ব্যক্তিগত খেসারত। আর আমি বলতে চাই, আমার প্রিয় স্ত্রী একজন বীর। সে–ও এই যুদ্ধের একটি ব্যক্তিগত খেসারত দিচ্ছে।’

আভনার নেতানিয়াহুর বিয়ে প্রথমে নির্ধারিত হয়েছিল ২০২৪ সালের নভেম্বরে। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে তখন বিয়ের আয়োজন স্থগিত করা হয়। এরপর নতুন করে তারিখ নির্ধারণ করা হয় ২০২৫ সালের ১৬ জুন। ১৩ জুন ইরানে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইসরায়েল। জবাবে ইরান পাল্টা হামলা শুরু করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিয়ের আয়োজনটি দ্বিতীয় দফায় স্থগিত করা হয়েছে।

ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের ‘ব্যক্তিগত খেসারত’ নিয়ে নেতানিয়াহু বক্তব্যে কিছু ইসরায়েলি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন

ইসরায়েলের পার্লামেন্ট সদস্য গিলাদ কারিভ এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ইসরায়েলে এমন অনেক পরিবার আছে, যাদের এখন আর কোনো দিন বিয়ের আনন্দ উদ্‌যাপন করার সুযোগ হবে না, যা একসময় হওয়ার কথা ছিল।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় জিম্মি থাকা এক ইসরায়েলির বাবা ইহুদা কোহেন বলেন, তাঁর ছেলের বিয়ে করা তো দূরের কথা, নিশ্বাসও নিতে পারছে না। সে দিনের আলো দেখতে পারছে না। গত ২০ মাসের বেশি সময় ধরে সে মৃত্যুর মুখোমুখি অবস্থায় আছে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন