গাজায় ইসরায়েলি হামলা: ‘আমার হাতে যা ছিল, তা নিয়েই পালিয়েছি’

ইসরায়েলের বিমান হামলার পর গাজা নগরীর ১৫ তলা মুশতাহা টাওয়ার ধসে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা যাচ্ছে। ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ছবি: রয়টার্স

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের যুদ্ধবিরতির আহ্বান উপেক্ষা করে গাজায় আবারও ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গতকাল বুধবার ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৮৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যা আগের দিনের তুলনায় দ্বিগুণ।

গতকাল রাতে গাজার নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরের আল-আহলি স্টেডিয়ামে এক বিমান হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সাতজন নারী ও দুটি শিশু। স্টেডিয়ামটি বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।

গাজা সিটি থেকে পালিয়ে আসা এক নারী নাজওয়া আল–জাজিরাকে বলেন, ‘আমার হাতে যা ছিল, তা নিয়েই পালিয়েছি। আমাদের ভয় লাগছে। পরিবহনের খরচ অনেক বেশি, আমাদের পক্ষে বাড়ি থেকে জিনিসপত্র আনা সম্ভব নয়।’

আরও পড়ুন

রাতভর তীব্র হামলার পর জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, ইসরায়েলি সেনারা গাজা নগরীর সাধারণ মানুষের মধ্যে ‘আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন’ এবং লাখো মানুষকে দক্ষিণে পালাতে বাধ্য করছেন।

তবে ইসরায়েলি সেনাপ্রধান আইয়াল জামির দাবি করেন, গাজা সিটির বেশির ভাগ মানুষ নিরাপত্তার জন্য দক্ষিণে চলে গেছেন এবং সেনারা ‘পদ্ধতিগত ও সুসংগঠিত অগ্রযাত্রা’ অব্যাহত রাখবেন। জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন এ দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কমপক্ষে ৬৫ হাজার ৪১৯ ফিলিস্তিনি নিহত ও ১ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও বহু মানুষ আটকা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলে হামলায় ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হওয়ার পর ইসরায়েল গাজায় হত্যাযজ্ঞ শুরু করে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন