গাজায় ইসরায়েলের হামলায় একই পরিবারের নিহত ৭ শিশুর দুজনের মরদেহ উদ্ধার হয়নি

দলে দলে ঘরে ফিরছেন ফিলিস্তিনিরা। খান ইউনিস, গাজা, ফিলিস্তিনফাইল ছবি: রয়টার্স

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় একই পরিবারের নিহত ১১ সদস্যের মধ্যে ৭টিই শিশু। এর মধ্যে দুই শিশুর মরদেহ এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি।

হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আট দিনের মাথায় স্থানীয় সময় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই হামলার ঘটনা ঘটে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গাজায় এটাকেই সবচেয়ে প্রাণঘাতী একক ঘটনা হিসেবে ধরা হচ্ছে।

হামাস–নিয়ন্ত্রিত গাজার সিভিল ডিফেন্স জানায়, গাজা নগরীর জেইতুন এলাকায় ‘আবু শাবান’ গোত্রের পরিবারকে বহনকারী একটি গাড়ি লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বাহিনী ট্যাংকের গোলা ছুড়ে।

আরও পড়ুন

সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল এক বিবৃতিতে বলেন, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন নারী ও সাতটি শিশু রয়েছে। পরিবারটি তাদের বাড়ি দেখার জন্য যাচ্ছিল।

মাহমুদ বাসাল বলেন, ‘পরিবারটিকে সতর্ক করা বা ভিন্নভাবে মোকাবিলা করা যেত। যেটা ঘটেছে, সেটা নিশ্চিত করে, দখলদারেরা এখনো রক্তপিপাসু হয়ে আছে এবং নিরীহ বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটন করায় জোর দিচ্ছে।’

সংস্থার পক্ষ থেকে দেওয়া পৃথক এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তারা জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় দপ্তরের (ওসিএইচএ) সঙ্গে সমন্বয় করে ওই ঘটনায় নয়জনের মরদেহ উদ্ধার করতে পেরেছে। এখনো দুটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি।

গাজার সিভিল ডিফেন্স সংস্থা জানায়, তারা জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় দপ্তরের (ওসিএইচএ) সঙ্গে সমন্বয় করে ওই ঘটনায় নয়জনের মরদেহ উদ্ধার করতে পেরেছে। এখনো দুটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি।

এ ঘটনাকে ‘হত্যাযজ্ঞ’ হিসেবে চিহ্নিত করে সমালোচনা করেছে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারা বলছে, যুক্তিহীনভাবে পরিবারটিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে চলার জন্য চাপ দিতে হামাস মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মধ্যস্ততাকারীদের প্রতি আহ্বান জানায়।

এর আগে গত সপ্তাহেও গাজা নগরীর সুজয়েয়া এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছিলেন।

আরও পড়ুন

যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও এখন পর্যন্ত মিসরের সঙ্গে রাফা সীমান্ত ক্রসিংসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত বন্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল। ফলে দুর্ভিক্ষপীড়িত গাজা উপত্যকায় বড় পরিসরে ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।

গতকাল শনিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর জানায়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রাফা সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ থাকবে। সোমবার (আগামীকাল) থেকে মিসরে ফিলিস্তিনের দূতাবাস আবারও চালু হচ্ছে—এমন ঘোষণা আসার পরপরই ইসরায়েল এ কথা জানিয়ে দেয়।

আরও পড়ুন