বন্ডাই সমুদ্রসৈকতে হামলার ঘটনায় আলবানিজ সরকারকে দায়ী করলেন নেতানিয়াহু

বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুরয়টার্স ফাইল ছবি

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বন্ডাই সমুদ্রসৈকতে ইহুদিদের উৎসব চলাকালে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তাঁর দাবি, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার সমর্থন যে ইহুদিবিদ্বেষকে আরও উসকে দেবে, সে ব্যাপারে তিনি অস্ট্রেলীয় সরকারকে আগেই সতর্ক করেছিলেন।

ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবের প্রথম রাতে সিডনির বন্ডাই বিচে অনুষ্ঠান চলাকালে বন্দুকধারীরা গুলি চালায়। এতে কমপক্ষে ১১ জন নিহত হন। অস্ট্রেলিয়ার কর্মকর্তারা এটিকে পরিকল্পিত ইহুদিবিদ্বেষী হামলা বলে উল্লেখ করেছেন। সন্দেহভাজন এক বন্দুকধারীও নিহত হয়েছেন।

নেতানিয়াহু এ ঘটনাকে ‘ঠান্ডা মাথার হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

নেতানিয়াহু বলেন, গত আগস্টে তিনি অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, অস্ট্রেলিয়া সরকারের নীতিগুলো দেশটিতে ইহুদিবিদ্বেষকে উসকে দিচ্ছে।

নেতানিয়াহু এক বক্তৃতায় বলেন, ‘আমি লিখেছিলাম, “স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি আপনাদের সমর্থন ইহুদিবিদ্বেষকে আরও উসকে দেবে। এতে হামাসের সন্ত্রাসীরাই পুরস্কৃত হচ্ছে। এটি অস্ট্রেলিয়ার ইহুদিদের হুমকি দেওয়া মানুষদের জন্য সাহস জোগাচ্ছে এবং শহরের রাস্তায় রাস্তায় ইহুদিবিদ্বেষকে উসকে দিচ্ছে।”’

ওই আগস্ট মাসেরই ১১ তারিখে আলবানিজ ঘোষণা করেছিলেন, সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে অস্ট্রেলিয়া। তাঁর ওই বক্তব্যের আগে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও কানাডাও একই ধরনের ঘোষণা দিয়েছিল।

গতকাল নেতানিয়াহু তাঁর বক্তব্যে অভিযোগ করেন, অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদিবিদ্বেষের বিস্তার ঠেকাতে আলবানিজ সরকার কিছুই করেনি।

আরও পড়ুন

নেতানিয়াহু বলেন, ‘আপনারা এই ব্যাধিকে ছড়াতে দিয়েছেন। আর এর ফলে আজ আমরা ইহুদিদের ওপর ভয়ংকর হামলা হতে দেখেছি।’

গতকাল রোববার হামলার পর আলবানিজ দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের একটি সভা ডাকেন।

আলবানিজ বলেন, এটি হানুক্কার প্রথম দিনে অস্ট্রেলিয়ার ইহুদিদের লক্ষ্য করে চালানো একটি হামলা। অথচ এটি আনন্দ ও বিশ্বাস উদ্‌যাপনের দিন হওয়ার কথা ছিল।

গতকালের এই বন্দুক হামলা ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় সিনাগগ, ভবন ও গাড়ির ওপর ঘটে আসা একের পর এক অ্যান্টিসেমিটিক হামলার মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক।

আরও পড়ুন