লন্ডন চলচ্চিত্র উৎসবে যেতে ইরানি নির্মাতাকে বাধা

মানি হাগিগি
ছবি: এএফপি ফাইল ছবি

ইরানের এক নির্মাতা বলেছেন, দেশটির সরকার তাঁকে লন্ডনের চলচ্চিত্র উৎসবে (লন্ডন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল) যোগদানে বাধা দিয়েছে। কুর্দি তরুণী মাসা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইরানজুড়ে চলমান বিক্ষোভে সমর্থন দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। খবর এএফপির

ওই নির্মাতার নাম মানি হাগিগি। লন্ডন চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজকদের কাছে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘শুক্রবার ইরানি কর্তৃপক্ষ আমাকে লন্ডনের ফ্লাইটে উঠতে দেয়নি। বস্তুত, এ ধরনের বাজে আচরণ কেন করা হলো, তা নিয়ে যৌক্তিক কোনো ব্যাখ্যা তারা আমাকে দিতে পারেনি।’

ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট (বিএফআই) ওই ভিডিও বার্তাটি টুইট করেছে। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, হাগিগি নির্মিত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘সাবট্র্যাকশন’-এর জন্য লন্ডন চলচ্চিত্র উৎসবে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ইরানি কর্তৃপক্ষ তাঁর পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করায় তিনি দেশ ছাড়তে পারছেন না।  

ভিডিও বার্তায় ৫৩ বছর বয়সী ইরানি পরিচালক, লেখক ও অভিনেতা হাগিগি বলেছেন, তাঁর ধারণা, মাসা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চলা বিক্ষোভে সমর্থন দেওয়ায় তাঁকে বিদেশ ভ্রমণে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।

হাগিগি বলেন, ‘কয়েক সপ্তাহ আগে আমি একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিও ধারণ করেছিলাম। সেখানে ইরানের বাধ্যতামূলক হিজাব আইন এবং তরুণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে চালানো ধরপাকড় অভিযান এবং তাদের সঙ্গে হওয়া নানা অন্যায় নিয়ে আমি সমালোচনা করেছিলাম। কর্তৃপক্ষ সম্ভবত ভেবেছে এখানে আটকে রেখে তারা আমার ওপর কড়া নজর রাখবে, হুমকি দেবে ও চুপ করিয়ে রাখবে। বাস্তবতা হলো, সে পরিকল্পনাকে হেয় করে আমি ভিডিওর মাধ্যমে আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি।’

আরও পড়ুন

হাগিগি আরও বলেন, নিজ দেশে ‘বন্দী’র মতো থাকতে বাধ্য হওয়া নিয়ে তাঁর কোনো অনুশোচনা বোধ নেই। এ মুহূর্তে তেহরানে থাকতে পারাটাই তাঁর জীবনের বড় আনন্দগুলোর একটি।

তিনি বলেন, ‘এ যদি আমার কৃতকর্মের শাস্তি হয়ে থাকে, তবে তা চলতে থাকুক।’
ইরানে কঠোর হিজাববিধি লঙ্ঘনের অপরাধে পুলিশি হেফাজতে ২২ বছর বয়সী ইরানি তরুণী মাসা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইরানজুড়ে এক মাস ধরে বিক্ষোভ চলছে। পরিবারের অভিযোগ, নীতি পুলিশের পিটুনির শিকার হয়ে মাসার মৃত্যু হয়েছে। অপর দিকে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, অসুস্থতার কারণে মারা গেছেন এ তরুণী।

আরও পড়ুন