সাদ্দামের কাছে ‘রবার ব্যান্ড’ থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র আগ্রাসন চালাত: মার্কিন কর্মকর্তার স্বীকারোক্তি

ইরাকের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন
ফাইল ছবি: রয়টার্স

ইরাকের কাছে ‘গণবিধ্বংসী অস্ত্র’ (উইপনস অব মাস ডেসট্রাকশন) আছে অভিযোগ তুলে ২০০৩ সালে দেশটিতে সামরিক আগ্রাসন চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো। তবে গণবিধ্বংসী অস্ত্র ইরাকের কাছে ছিল কি না, সেই বিতর্ক ছিল শুরু থেকেই। ইরাক যুদ্ধের ২০ বছর পর এখন নতুন করে সে বিতর্ক ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ইরাকের কথিত গণবিধ্বংসী অস্ত্র নিয়ে নতুন তথ্য সামনে এসেছে বিবিসির ‘শক অ্যান্ড ওয়ার: ইরাক টোয়েন্টি ইয়ারস অন’ নামে নতুন এক সিরিজে।    

২০০১ সালের কথা। যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা এমআই–৬–এর একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাকে তাঁর এক সহকর্মী বলেছিলেন, ইরাক যুদ্ধের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বসহকারে ভাবছে। সহকর্মীর কাছ থেকে ইরাক যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এ মনোভাব জানার পর ওই কর্মকর্তা শুধু একটি শব্দই উচ্চারণ করেছিলেন, ‘ক্রাইকি’।

ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের এমন ‘বিস্মিত’ প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি এখনো স্মরণ করতে পারেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর কর্মকর্তারা। সিআইএর ইরাক অপারেশন্স গ্রুপের প্রধান ছিলেন লুইস রুয়েডা। রুয়েডা বললেন, ‘আমি ভেবেছিলাম যে আলোচনার টেবিলেই তাঁরা হার্ট অ্যাটাক করবেন। তাঁরা যদি ভদ্রলোক না হতেন, তাহলে টেবিলের এ পাশে এসে আমাকে চড় মারতেন।’ ইরাক যুদ্ধের এই বার্তা দ্রুতই কূটনীতিকদের পরিবর্তে ব্রিটিশ গোয়েন্দারা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ডাউনিং স্ট্রিটে পৌঁছে দেন।

সেই সময় এমআই–৬–এর প্রধান ছিলেন রিচার্ড ডিয়ারলাভ। প্রায়ই তাঁকে ওয়াশিংটন সফর করতে দেখা যেত। সাবেক এই ব্রিটিশ গোয়েন্দাপ্রধানকে গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে তেমন দেখা যায়নি। তবে বিবিসিকে দেওয়া এক বিরল সাক্ষাৎকারে রিচার্ড ডিয়ারলাভ বলেন, ‘আমি হয়তো প্রথম ব্যক্তি, যে প্রধানমন্ত্রীকে গিয়ে বলেছিলাম, ‘আপনি পছন্দ করেন বা না করেন, প্রস্তুতি নিন। কারণ, আমাদের মনে হচ্ছে, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আক্রমণ চালানোর জন্য সব রকম প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ইরাকে আগ্রাসনের সব রকম ইঙ্গিত পাওয়া এবং কূটনীতিকদের পরিবর্তে নিজেরাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার মধ্য দিয়ে যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে বিতর্কিত ও মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনা এক যুদ্ধে গভীরভাবেই জড়িয়ে পড়েছিল যুক্তরাজ্যের বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা এমআই–৬।  

তবে ইরাকের সেই সময়কার প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গণবিধ্বংসী অস্ত্রের বিষয়টি মুখ্য কারণ ছিল না। সিআইএর ইরাক অপারেশন্স গ্রুপের প্রধান লুইস রুয়েডার কথাতেই এমন ইঙ্গিত পাওয়া যায়। রুয়েডা বলেন, ‘সাদ্দাম হোসেনের কাছে যদি একটি রবার ব্যান্ড বা একটি পেপার ক্লিপও থাকত, তা–ও আমরা ইরাকে আগ্রাসন চালাতাম। আমরা হয়তো তখন বলতাম, ‘ওহ, উনি (সাদ্দাম) তোমাদের চোখ উপড়ে ফেলতে চান।’  

ইরাকে অবস্থানরত মার্কিন সেনা
ফাইল ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রেও বিষয়টি ছিল একই রকম। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যে ইরাকের বিষয়ে জানেন না এমন লোকজনের কাছে যেকোনো মূল্যেই হোক না কেন ইরাককে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরতে হতো যুক্তরাজ্যকে। ফলে তখন ইরাকের গণবিধ্বংসী, রাসায়নিক, জৈব ও পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকিই ছিল মূল বিষয়।

মাঝেমধ্যে এমন অভিযোগ উঠেছে এবং এখনো উঠছে যে ইরাকে আক্রমণ চালানোর জন্য দেশটির কাছে গণবিধ্বংসী অস্ত্র থাকার যে অভিযোগ ব্রিটিশ সরকার তুলেছিল, সেটা ছিল বানোয়াট। কিন্তু সে সময়কার মন্ত্রীরা অবশ্য বলেন, তাঁদের নিজেদের গুপ্তচরেরাই ইরাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র থাকার কথা বলেছিলেন।

এ প্রসঙ্গে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার বলেন, ‘এটা বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেসব গোয়েন্দা তথ্য আমি পাচ্ছিলাম, তার ওপর নির্ভর করেই আমাকে এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। আমার মনে হয়, আমার দায়িত্বই ছিল (গোয়েন্দা তথ্যের ওপর) নির্ভর করা।’ টনি ব্লেয়ার জানান, ইরাকে আক্রমণের আগেও তিনি এ বিষয়ে প্রশ্ন করেন এবং যৌথ গোয়েন্দা কমিটি তাঁকে আশ্বস্ত করেছিল। তবে ভুল তথ্য দেওয়ায় তিনি দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সমালোচনা করতে অস্বীকৃতি জানান।

তবে ওই সময়কার অন্য মন্ত্রীরা অবশ্য বলেন, বিষয়টি নিয়ে তাঁদের মধ্যে সন্দেহ ছিল। তখন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন জ্যাক স্ট্র। তিনি বলেন, ‘অন্তত তিনবার আমি গোয়েন্দা তথ্যের পক্ষে প্রমাণ বিষয়ে রিচার্ড ডিয়ারলাভাকে (এমআই–৬–এর তৎকালীন প্রধান) জিজ্ঞাসা করেছিলাম। বিষয়টি নিয়ে তখন আমার মধ্যে একধরনের অস্বস্তিও কাজ করছিল। তবে রিচার্ড ডিয়ারলাভ প্রতিবারই আমাকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, যেসব গুপ্তচর তাঁকে এসব তথ্য দিয়েছেন, তারা নির্ভরযোগ্য।’ সন্দেহের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জ্যাক স্ট্র বলেন, এসব ক্ষেত্রে দায় সব সময় রাজনীতিকদের নিতে হয়। কারণ, এই রাজনীতিকেরাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন।

আরও পড়ুন

ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক আগ্রাসনের দিকে ফিরে তাকালে এটাকে একটা গোয়েন্দা ব্যর্থতা মনে করেন কি না, এ প্রশ্ন করা হয়েছিল ডিয়ারলাভকে। জবাবে সাদামাটা উত্তরে তিনি বলেন, ‘না’। তবে এখনো তাঁর বিশ্বাস, ইরাকের অস্ত্র কর্মসূচি ছিল এবং সেসব সরঞ্জাম হয়তো সীমান্ত দিয়ে সিরিয়ায় পাঠানো হয়।  

তবে অন্যরা ডিয়ারলাভের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন। সে সময় যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দাবিষয়ক সমন্বয়ক ছিলেন ডেভিড ওম্যান্ড। তিনি বলেন, ‘এটা ছিল একটা বড় ধরনের (গোয়েন্দা) ব্যর্থতা।’ গণবিধ্বংসী অস্ত্র নিয়ে একধরনের পক্ষপাতমূলক তথ্য থাকার কারণে হাতে আসা আংশিক তথ্যের ভিত্তিতে সরকারের বিশেষজ্ঞদের একটা ধারণা হয়েছিল যে সাদ্দাম হোসেনের কাছে গণবিধ্বংসী অস্ত্র রয়েছে। এর বিপরীতে যেসব ধারণা তৈরি হয়েছিল, তা খারিজ করে দেওয়া হয়।

এমআই–৬–এর কিছু কর্মকর্তার মধ্যেও ইরাকের কাছে গণবিধ্বংসী অস্ত্র থাকার বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ ছিল। ইরাকে সে সময় দায়িত্ব পালন করেছিলেন এমআই–৬–এর এমন একজন কর্মকর্তা, যিনি এর আগে কখনো মুখ খোলেননি। নাম গোপন রাখার শর্তে তিনি বলেন, ‘তখন আমার মনে হয়েছিল আমরা যেটা করছি, সেটা ভুল।’

২০০২ সালের শুরুর দিককার কথা উল্লেখ করে সাবেক এই ব্রিটিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘সে সময় নতুন এমন কোনো বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য বা মূল্যায়ন ছিল না, যা থেকে এমন ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে ইরাক আবারও তাদের গণবিধ্বংসী অস্ত্র কর্মসূচি শুরু করেছে এবং এতে করে তারা (ইরাক) আসন্ন একটি হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার মনে হয়, সরকারের দিক থেকে একমাত্র বিষয় ছিল যে গণবিধ্বংসী অস্ত্র হচ্ছে এমন এক মাদকতা, যেটা দিয়ে তারা এর (ইরাক আক্রমণ) বৈধতা দিতে পারবে।’

২০০২ সালের বসন্তে যেসব গোয়েন্দা তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল, সেগুলো ছিল জোড়াতালি দেওয়া। এমআই–৬–এর যেসব এজেন্ট দীর্ঘদিন ধরে ইরাকে ছিলেন তাঁদের কাছেও গণবিধ্বংসী অস্ত্র নিয়ে খুব সামান্য বা কোনো তথ্যই ছিল না। তবে ইরাকের কাছে গণবিধ্বংসী অস্ত্র রয়েছে, এমন দাবির সপক্ষে প্রমাণ সংগ্রহের জন্য তখন নতুন করে গোয়েন্দা তথ্যের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালানো হয়। বিশেষ করে ওই বছরের সেপ্টেম্বরে এ বিষয়ে একটি তথ্যপঞ্জি তৈরির যে প্রক্রিয়া চলছিল, সেটার জন্য।  

সে সময়কার এমআই–৬–এর একজন কর্মকর্তা এ রকম একটি গোয়েন্দা বার্তার পাঠোদ্ধার (ডিকোড) করার বিষয়টি স্মরণ করে বলেন, ওই বার্তায় লেখা ছিল যে গোয়েন্দা সংস্থার কাছে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে যুক্তরাজ্যের জনগণকে প্ররোচিত করা ছাড়া ‘আর কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নেই’। সেই সময়ে যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, গোয়েন্দাদের কাছ থেকে আসা এ তথ্য যদি সঠিক হয়, তাহলে এটা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলবে। আর এ জন্যই বার্তাটি মুছে ফেলা হয়।

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাক
ফাইল ছবি: রয়টার্স

২০০২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর নতুন এক সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিটে ছুটে যান এমআই–৬–এর প্রধান ডিয়ারলাভ। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে দাবি করেন, সাদ্দামের (অস্ত্র) কর্মসূচি আবার শুরু হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর প্রতিশ্রুতিও দেন। যদিও ওই সূত্রের দেওয়া তথ্যগুলো তখনো যাচাই করার কাজ শেষ হয়নি এবং বিশেষজ্ঞদের জানানো হয়নি। এরপরও এ তথ্য প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়।

তবে রিচার্ড ডিয়ারলাভ তাঁর বিরুদ্ধে ডাউনিং স্ট্রিটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা অত্যধিক বাড়িয়ে তোলার অভিযোগকে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দেন। যদিও তার সেই নির্দিষ্ট সূত্র বা ওই ঘটনার বিস্তারিত নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। অন্য গোয়েন্দা সূত্রগুলো জানায়, এরপরে কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও সেই নতুন সূত্রের বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি এবং পুরো ঘটনাটি বানোয়াট বলে ধারণা হয়েছিল অনেকের।

গণবিধ্বংসী অস্ত্রের সন্ধানে ২০০২ সালের শেষের দিকে জাতিসংঘের একটি তদন্ত দল ইরাকে যায়। সেই দলে থাকা কয়েকজন তদন্তকারীর সঙ্গে কথা হলে তাঁরা সেই সময়কার স্মৃতি স্মরণ করে বলেন, তাঁরা ইরাকে গিয়ে এমন কিছু জায়গা পরিদর্শন করেন, যেসব জায়গায় মোবাইল ল্যাব থাকার বিষয় গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে জানিয়েছিল পশ্চিমা দেশগুলো। তবে সেসব জায়গায় গিয়ে জাতিসংঘের তদন্তকারীরা আইসক্রিম তৈরির কারখানা পান, যেগুলো মাকড়সার জাল দিয়ে ভর্তি ছিল।

লোকজন তখন কোনোভাবেই বুঝতে পারেনি যে (ইরাকে) একটা যুদ্ধ অত্যাসন্ন। একদিকে গোয়েন্দা সূত্রগুলো সঠিক তথ্য দিতে ব্যর্থ হচ্ছিল, তদন্তকারী দলও ইরাক থেকে শূন্য হাতে ফিরে আসে এবং এর সঙ্গে উদ্বেগ তো ছিলই। ওই পরিস্থিতিকে ‘আতঙ্কজনক’ বলে বর্ণনা করেন তৎকালীন এক ব্রিটিশ গোয়েন্দা। ২০০৩ সালের জানুয়ারিতে ব্লেয়ার গোয়েন্দাপ্রধানকে বলেন, ‘আমার ভবিষ্যৎ তোমার হাতে।’ কারণ, তখন গণবিধ্বংসী অস্ত্র থাকার বিষয়টি প্রমাণ করার চাপ বাড়ছিল।  

তৎকালীন ব্রিটিশ গোয়েন্দাপ্রধান রিচার্ড ডিয়ারলাভ তখনকার কথা স্মরণ করে বলেন, ‘ওই সময়টা ছিল হতাশাপূর্ণ।’ ইরাকে গিয়েও কিছু (অস্ত্র থাকার প্রমাণ) না পাওয়ার জন্য তিনি তদন্তকারীদের ‘অযোগ্যতাকে’ দায়ী করেন। তবে ইরাকে অস্ত্রের সন্ধানে যাওয়া জাতিসংঘ তদন্তকারী দলের প্রধান বলছেন, ২০০৩ সালের শুরুর দিকেও তিনি বিশ্বাস করতেন যে ইরাকে অস্ত্র আছে। তবে পশ্চিমা গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে অস্ত্র খুঁজতে ইরাকে গিয়েও কিছুই না পেয়ে ফেরার পর তাঁর সন্দেহ দানা বাধতে থাকে। ইরাকের কাছে অস্ত্র আছে কি না, তা বের করতে তিনি আরও সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে সময়ই দেওয়া হয়নি।  

ইরাকের কাছে গণবিধ্বংসী অস্ত্র থাকার কোনো প্রমাণ দিতে গোয়েন্দাদের এ ব্যর্থতা ২০০৩ সালে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে সামরিক আগ্রাসন ঠেকাতে পরেনি।  

এরপর ২০ বছর পার হলেও ইরাকের কাছে গণবিধ্বংসী কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি। এমআই–৬–এর একজন সাবেক কর্মকর্তা বলেন, ‘ইরাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র খোঁজার এ অভিযান শেষ পর্যন্ত ভেস্তে গেছে।’ তিনি বলেন, এ ঘটনার জন্য গুপ্তচর এবং রাজনীতিকদের গভীর ও দীর্ঘস্থায়ী এক পরিণাম বয়ে নিয়ে বেড়াতে হবে।

আরও পড়ুন