গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের পক্ষে ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্পফাইল ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান মনোনয়নপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এ ব্যাপারে তাঁর এযাবৎকালের সবচেয়ে স্পষ্ট কথাটি বললেন।

গতকাল ফক্স নিউজের এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তিনি ইসরায়েলের পক্ষে কি না। জবাবে ট্রাম্প বলেছেন, ‘হ্যাঁ।’

সাক্ষাৎকারগ্রহণকারী এরপর জানতে চান, ইসরায়েল যে কায়দায় অভিযান চালাচ্ছে, তা তিনি সমর্থন করেন কি না। জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আপনাকে সমস্যাটা শেষ করতে হবে’।

গাজায় হামলা বন্ধের জন্য ইসরায়েলকে রাজি করাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর যখন চাপ জোরালো হচ্ছে, তখনই এমন মন্তব্য করলেন ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়ায় আন্তর্জাতিকভাবে বাইডেন চাপের মধ্যে রয়েছেন। এমনকি নিজ দল ডেমোক্রেটের মধ্যেও অনেকে তাঁর অবস্থানের বিরোধিতা করেছেন।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের তথ্যের ভিত্তিতে এএফপির করা হিসাব অনুসারে ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার ১৬০ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক। জবাবে ৭ অক্টোবর থেকেই গাজা উপত্যকায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামাস শাসিত গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে প্রায় পাঁচ মাস ধরে চলা এ যুদ্ধে ৩০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবাদী আন্দোলনগুলো ভোটারদের বলছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দলীয় বাছাইপর্বে ইসরায়েল সমর্থনকারী বাইডেনকে উচিত শিক্ষা দিতে।

সম্প্রতি মিশিগানে দলীয় বাছাইপর্বে এক লাখের বেশি ভোটার বাইডেনকে সমর্থন না দিয়ে ‘আনকমিটেড’ হিসেবে ভোট দিয়েছেন। অর্থাৎ তাঁরা সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেননি। মিশিগান এমনিতেই যুক্তরাষ্ট্রের দোলাচলে থাকা ভোটারদের অঙ্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত।

এমন অবস্থায় সম্প্রতি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মার্কিন কর্মকর্তাদের কঠোর হতে দেখা যাচ্ছে। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস গাজা উপত্যকার মানবেতর পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন। গত সোমবার ওয়াশিংটনে ইসরায়েলের যুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রিপরিষদের সদস্য বেনি গান্টজের সঙ্গে বৈঠকে এমন উদ্বেগ জানান তিনি।