গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের হামাসের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির চুক্তি নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। আলোচনার সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন। তবে দুই পক্ষ এখনো চূড়ান্ত কোনো সমঝোতায় পৌঁছায়নি।
মিসরের রাজধানী কায়রোয় অনুষ্ঠিত আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কারবি বলেন, তাঁরা (আলোচকেরা) গঠনমূলক আলোচনা করেছেন এবং সঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছেন।
এমন এক সময় ইসরায়েল–হামাস আলোচনায় বসেছে, যখন ফিলিস্তিনের দক্ষিণাঞ্চলের রাফা শহরে বড় অভিযানের পরিকল্পনা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে আটকা পড়েছে ১০ লাখের বেশি ঘর হারানো মানুষ। কয়েক মাস ধরে গাজায় নির্বিচার হামলা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে সহিংসতার জন্য আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার মুখে পড়েছে ইসরায়েল।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানকে ‘অসামঞ্জস্যপূর্ণ’ বলেছেন ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি। তিনি বলেন, গাজায় ভুক্তভোগীর সংখ্যা অনেক বেশি।
এর আগে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে চিহ্নিত করে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার চেয়ে আবেদন করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এখন দেশটি বলছে, রাফায় অনেকটা একই কাজ করছে ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক আদালতের কাছে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি দক্ষিণ আফ্রিকার।
ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্যবস্তু বানানোর জন্য এর আগে ইসরায়েলিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। গতকাল মঙ্গলবার এ তালিকায় নাম লিখিয়েছে ফ্রান্স। কয়েক ডজন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইমানুয়েল মাখোঁর প্রশাসন।
গতকাল ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। বলা হয়েছে, হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনাওয়ার পরিবার নিয়ে রাফায় অবস্থান করছেন। তাঁদের একটি সুড়ঙ্গে দেখা গেছে। সাদা–কালো ফুটেজটি গত ১০ অক্টোবর ধারণ করা। ৭ অক্টোর হামলা শুরুর পর এটাই সিনাওয়ারের প্রকাশ করা প্রথম ছবি–ভিডিও।
খবর বেরিয়েছে, যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অংশ নিতে কায়রোয় গেছেন মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিআইএর পরিচালক উইলিয়াম বার্নস। অন্যদিকে ইসরায়েলি প্রতিনিধিদলে আছেন দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া ও দেশটির নিরাপত্তা সংস্থা সিন বেতের পরিচালক রোনেন বার। সেই সঙ্গে উপস্থিত আছেন মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান আব্বাস কামেল ও কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল–থানি।
আলোচনার সঙ্গে সম্পৃক্ত মিসরের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, ছয় সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।