সিরিয়ায় চার মাসে হিজবুল্লাহর ৫০টি লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলের হামলা

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারিছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

চার মাসে সিরিয়ায় হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের ৫০টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এসব হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এই তথ্য জানিয়েছে। লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ইরানের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে থাকে।

মূলত ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে হিজবুল্লাহর চালানো আক্রমণ ঠেকানোর প্রচেষ্টা নিয়ে গতকাল শনিবার এক ব্রিফিংয়ে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রধান মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারির মন্তব্যে বিষয়টি উঠে আসে।

সিরিয়ায় ইরানপন্থী সরকারি বাহিনীর হয়ে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়ছেন হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা। প্রায়ই সিরিয়ায় হামলা চালিয়ে থাকে ইসরায়েল। সাধারণত সিরিয়ায় হামলা নিয়ে দাপ্তরিকভাবে মন্তব্য করার বিষয়ে সংযমী থাকে ইসরায়েল। তবে হাগারির মন্তব্যের মধ্য দিয়ে সেই অবস্থান থেকে সরে এল তেল আবিব।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এই মুখপাত্র বলেন, ‘যেখানেই হিজবুল্লাহ আছে, সেখানে আমরা থাকব। মধ্যপ্রাচ্যে প্রয়োজনীয় সব জায়গায় আমরা (হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে) ব্যবস্থা নেব।’

আরও পড়ুন

হাগারি বলেন, লেবাননে হিজবুল্লাহর ৩৪ হাজার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর মধ্যে রয়েছে ১২০টি সীমান্ত নজরদারি চৌকি, ৪০টি বাক্সে রাখা ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্রের মজুত এবং ৪০টির বেশি কমান্ড সেন্টার। এসব হামলায় দুই শতাধিক হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রধান মুখপাত্র বলেন, গাজা যুদ্ধের সঙ্গে হিজবুল্লাহও জড়িয়ে পড়তে পারে—এমন পূর্বানুমান থেকে লেবানন সীমান্তে সেনাবাহিনীর তিনটি ডিভিশন মোতায়েন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। এ ঘটনার জবাবে ওই দিন থেকেই অবরুদ্ধ গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই হামলা বন্ধের দাবিতে ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর ঘোষণা দেয় হিজবুল্লাহ। সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই ইসরায়েলি বাহিনী ও হিজবুল্লাহর মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটছে।