পাকিস্তানে জোট সরকারে রাজি নওয়াজ ও বিলাওয়ালের দল

নওয়াজ শরিফ ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি (ডানে)
ফাইল ছবি এএফপি

পাকিস্তানের সাধারণ পরিষদ নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ ফলাফল এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে কোনো দল এককভাবে সরকার গড়তে প্রয়োজনীয় আসন পাচ্ছে না, এটা প্রায় নিশ্চিত। এ পরিস্থিতিতে জোট সরকার গড়তে ঐকমত্যে পৌঁছেছে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)।

পিএমএল-এন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল। আর পিপিপির প্রধান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। তিনি দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টার সন্তান।

পাকিস্তানে এবারের নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কারাবন্দী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ও পিএমএল-এনের মধ্যে। যদিও আইনি প্রতিবন্ধকতার কারণে পিটিআই দল হিসেবে নির্বাচন করতে পারেনি। এই দলের সমর্থিত প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তবে পিটিআই ও পিএমএল-এন—দুই দলই নিজেদের বিজয়ী দাবি করেছে। এ পরিস্থিতিতে জোট গড়ে ক্ষমতায় যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছেন নওয়াজ শরিফ।

পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ও তাঁর বাবা পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির সঙ্গে বৈঠক করেছেন পিএমএল-এনের প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফ। এ সময় শাহবাজ শরিফ ‘পাকিস্তানের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে’ পিপিপির শীর্ষ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন

পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান মহসিন নাকভির বাড়িতে এই বৈঠক হয়। বৈঠক–সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাত দিয়ে জিও নিউজের খবরে বলা হয়, বিলাওয়াল ও আসিফ জারদারির সঙ্গে শাহবাজ শরিফের বৈঠকে জোট বেঁধে কেন্দ্রে ও পাঞ্জাবে সরকার গড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, ৪৫ মিনিট ধরে চলা বৈঠকে পিপিপির শীর্ষ নেতাদের কাছে নওয়াজ শরিফের বার্তা পৌঁছে দেন শাহবাজ। সেই সঙ্গে তিনি ভবিষ্যতে পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য পিপিপি ও পিএমএল-এনের নেতাদের বৈঠকে বসার আহ্বান জানান।

কেন্দ্র ও পাঞ্জাবে জোট বেঁধে ক্ষমতায় যাওয়ার কৌশল নির্ধারণ করতে দুই দলের নেতারা অবিলম্বে আলোচনায় বসবেন বলেও সম্মত হয়েছেন শাহবাজ ও জারদারি।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। নির্বাচনের আগে দুর্বৃত্তের গুলিতে একজন প্রার্থী নিহত হওয়ায় একটি আসনে ভোট স্থগিত করা হয়েছিল আগেই। ফলে ভোট হয়েছে ২৬৫ আসনে। এককভাবে সরকার গঠন করতে কোনো দলকে ১৩৪টি আসনে জিততে হবে।

পাকিস্তানের পতাকা হাতে কয়েকজন
প্রতীকী ছবি: রয়টার্স
আরও পড়ুন

পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) সর্বশেষ ফল অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৫০টি আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯৯ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাঁদের বেশির ভাগই পিটিআইয়ের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে লড়েছেন। এরপর পিএমএল-এন ৭১টি, পিপিপি ৫৩ এবং এমকিউএম ১৭টি আসনে জয়ী হয়েছে। অন্যান্য দল পেয়েছে ১০টি আসন।

এর আগে ২০২২ সালে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পিপিপি ও পিএমএল-এন একসঙ্গে জোট গড়েছিল।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন