পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ বিলুপ্ত, আসছে অন্তর্বর্তী সরকার

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন জোটের সদস্যরা। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ, ৯ আগস্ট ২০২৩
ছবি: পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার তিন দিন আগে গতকাল বুধবার রাতে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।

জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে গতকালই প্রেসিডেন্ট আলভির কাছে একটি সারসংক্ষেপ সই করে পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এই সারসংক্ষেপ পাঠানোর অল্প সময়ের মধ্যে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আলভি।

জাতীয় পরিষদ বিলুপ্তির মধ্য দিয়ে পাকিস্তানে শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের অবসান ঘটল।

পাকিস্তানে আগামী জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্যে এখন অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হবে। এই সরকারই জাতীয় নির্বাচনের সময় দায়িত্ব পালন করবে।

জাতীয় পরিষদ বিলুপ্ত হওয়ার ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে শাহবাজ শরিফের। মূলত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কে হবেন, তা নিয়ে আলোচনা করতেই এই বৈঠক হবে।

আরও পড়ুন

পাকিস্তানের সংবিধান অনুসারে, পার্লামেন্ট বিলুপ্তির তিন দিনের মধ্যে নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করতে হবে।

পাকিস্তানের সংবিধানে বলা আছে, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই যদি জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়া হয়, তাহলে ৯০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন করতে হবে। আর জাতীয় পরিষদ মেয়াদ পূর্ণ করলে ৬০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন হবে।

যেহেতু মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে, তাই ৯০ দিনের মধ্যে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে এবারের নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সাধারণ নির্বাচনের পর ২০১৮ সালের ১২ আগস্ট পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের নেতৃত্বে দেশটিতে জোট সরকার যাত্রা শুরু করেছিল। তবে গত বছরের এপ্রিলে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে বিরোধীদের আনা আস্থা ভোটে হেরে ইমরানের সরকার ক্ষমতা হারায়। পরে শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে বিরোধীরা জোট সরকার গঠন করে।

আরও পড়ুন

দেশটির অন্যতম জনপ্রিয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান এখন কারাগারে রয়েছেন। রাষ্ট্রীয় উপহার কেনা–বেচাসংক্রান্ত (তোশাখানা) দুর্নীতি মামলায় গত শনিবার তাঁকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ইসলামাবাদের একটি আদালত। সাজা ঘোষণার পরপরই ইমরানকে তাঁর লাহোরের জামান পার্কের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তোশাখানা মামলায় সাজা ঘোষণার পর গত মঙ্গলবার ইমরানকে নির্বাচনে পাঁচ বছরের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইমরান অংশ নিতে পারবেন না।

তোশাখানা মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন ইমরান। তিনি জামিন চেয়েও আবেদন করেছেন।

আরও পড়ুন