পাকিস্তানে আইনজীবী নেতাকে সমিতির কক্ষেই গুলি করে হত্যা
পাকিস্তানে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী লতিফ আফ্রিদিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার পেশোয়ার হাইকোর্ট (পিএইচসি) আইনজীবী সমিতির কক্ষে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পুলিশ এ কথা জানিয়েছে।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, গুলির ঘটনার পর তাৎক্ষণিক লতিফ আফ্রিদিকে পেশোয়ার লেডি রিডিং হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানান হাসপাতালের মুখপাত্র মুহাম্মদ আসিম।
সিনিয়র পুলিশ সুপার কাশিফ আব্বাসি ডনকে বলেন, পেশোয়ার হাইকোর্ট আইনজীবী সমিতির কক্ষে অন্য আইনজীবীদের সঙ্গে বসেছিলেন লতিফ আফ্রিদি। এ সময় এক অস্ত্রধারী ব্যক্তি তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন।
হামলাকারী লতিফ আফ্রিদির আত্মীয় বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁর না আদনান আফ্রিদি বলে জানা গেছে।’ তাঁর কাছ থেকে একটি ছোট আগ্নেয়াস্ত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র ও একটি শিক্ষার্থী পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
আব্বাসি আরও বলেন, ‘ব্যক্তিগত শত্রুতার’ কারণে এই হামলা চালানো হয়েছিল বলে পুলিশ ধারণা করছে।
হামলাকারীর চাচাতো ভাই সোয়াতের সন্ত্রাসবাদবিরোধী আদালতের বিচারক আফতাব আফ্রিদি গত বছর গুলিতে নিহত হন। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় লতিফ আফ্রিদি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নাম ছিল। কিন্তু পরে সন্ত্রাসবাদবিরোধী একটি আদালত তাঁদের খালাস দেন।
এদিকে, এই ঘটনাকে ‘নিরাপত্তাব্যবস্থায় ঘাটতি’ আখ্যা দিয়েছে পেশোয়ার হাইকোর্ট আইনজীবী সমিতি। তারা প্রশ্নে তুলেছে, একজন ব্যক্তি কীভাবে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সমিতির কক্ষ পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম হলো।
উল্লেখ্য, পেশোয়ার হাইকোর্ট আইনজীবী সমিতির দপ্তর হাইকোর্ট চত্বরের ভেতরই অবস্থিত। সেখানকার প্রবেশপথে নিয়মিত কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকে। কেবল পরিচয়পত্র দেখেই লোকজনকে সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।