পাকিস্তানে বিদ্যুৎ বিপর্যয় কাটানো গেছে, লোডশেডিং থাকবে

বিদ্যুৎ নেই, অন্ধকারে বসে আছেন একজন দোকানদার। গতকাল পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে।
ছবি: এএফপি

দেশজুড়ে বড় ধরনের বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ধাক্কা আপাতত সামলে উঠেছে পাকিস্তান। বিপর্যয় শুরুর এক দিন পর আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় পাকিস্তানের জ্বালানিমন্ত্রী খুররম দস্তগির জানিয়েছেন, জাতীয় গ্রিডের পুনরায় সংযোগ পুরোপুরি চালু করা গেছে। তবে আগামী দুই থেকে তিন দিন বিদ্যুতের ঘাটতি থাকবে। খবর দ্য ডনের।

আজ সকালে টুইট করে খুররম দস্তগির জানান, ‘ন্যাশনাল গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত ১ হাজার ১১২টি স্টেশন আবারও চালু হয়েছে।’ এরপর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘আজ মঙ্গলবার ভোর সোয়া পাঁচটার দিকে দেশজুড়ে বিদ্যুৎসংযোগ আবার চালু করা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ, ওয়াপদা ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগের কর্মীদের সহায়তায় আমরা ক্রুটি শনাক্ত ও তা মেরামত করতে সক্ষম হয়েছি।’

জ্বালানিমন্ত্রী খুররম আরও বলেন, দেশে ৬ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ৩ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পুরোপুরি উৎপাদনে যেতে আরও ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। এ জন্য এ সময় দেশজুড়ে লোডশেডিং হওয়ার সম্ভবান রয়েছে।

তবে সরকারের পক্ষ থেকে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার ঘোষণার পরও করাচি, লাহোরসহ পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় বারবার লোডশেডিং হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আজও করাচির গুলিস্তান–ই–জুহার, উত্তর করাচি, গুলশান, জ্যাকব লাইনসহ বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না।

আরও পড়ুন

লোডশেডিং চলছে লাহোরের বিভিন্ন এলাকায়ও। দেশটির বেলুচিস্তান প্রদেশে বিদ্যুৎসংযোগ আংশিক চালু রয়েছে। আজ রাতের মধ্যে সংযোগ পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন কোয়েটা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির মুখপাত্র।

গতকাল সোমবার সকাল ৭টা ৩৪ মিনিটে বড় ধরনের বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মুখে পড়ে পাকিস্তান। করাচি, লাহোরসহ দেশটির বেশির ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। ২২ কোটির বেশি মানুষ দুর্ভোগে পড়ে। পুরো রাত অন্ধকারে কাটে পাকিস্তানের বেশির ভাগ মানুষের।

আরও পড়ুন

পাকিস্তানের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের কারণে এ অবস্থা দেখা দেয়।

আরও বলা হয়, অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে রাতে বিদ্যুৎব্যবস্থা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সকালে আবার চালু করা হয়। সোমবার সকালে যখন চালু করা হয়, তখন দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ফ্রিকোয়েন্সি ও ভোল্টেজ ওঠানামা করে। এ কারণে একের পর এক বিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিটগুলো বন্ধ হয়ে যায়।

এর আগে গত বছরের অক্টোবর মাসে পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না। জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডে চাপের কারণে পাকিস্তানে প্রায়ই এ ধরনের বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন