পাকিস্তানের বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি

পাকিস্তানের বন্যাদুর্গত এলাকায় অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
ছবি: ইউএনএইচসিআরের সৌজন্য

পাকিস্তানের বন্যাদুর্গত এলাকা সফর করছেন হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। তিনি বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দাদু জেলায় যান এবং ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
জিও নিউজের গতকাল মঙ্গলবারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের প্রতি সংহতি জানাতে জোলি পাকিস্তান সফর করছেন বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি (আইআরসি)। পাকিস্তানজুড়ে ভারী বর্ষণ ও বন্যায় দেড় হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ। বন্যার পানিতে দেশটির তিন ভাগের এক ভাগ তলিয়ে যায়।

আইআরসির বিবৃতিতে বলা হয়, পরিস্থিতি দেখতে এবং বন্যাদুর্গতদের কাছ থেকে সরাসরি শুনতে পাকিস্তানে জোলি। তিনি বন্যাদুর্গতদের কথা শুনবেন এবং তাঁদের প্রয়োজন নিয়ে কথা বলবেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ভোগ প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে তিনি আলোচনা করবেন।

আইআরসির জরুরি উদ্ধার কার্যক্রম ও আফগান শরণার্থীসহ বাস্তুচ্যুত লোকজনকে সহায়তাকারী স্থানীয় সংগঠনগুলো পরিদর্শনে যাওয়ার কথা রয়েছে জোলির। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারের শুভেচ্ছাদূত থাকাকালে ২০১০ সালের বন্যায় এবং ২০০৫ সালের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে দেখতে পাকিস্তান সফর করেছিলেন জোলি।

পরিস্থিতি দেখতে এবং বন্যাদুর্গতদের কাছ থেকে সরাসরি শুনতে সরেজমিন পরিদর্শনে এসেছেন জোলি
ছবি: টুইটার

পাকিস্তান বৈশ্বিকভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শরণার্থী আশ্রয়দানকারী দেশ। ৪০ বছর ধরে দেশটির জনগণ আফগান শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে আসছে।

পাকিস্তানের জনগণের জন্য জরুরি সহায়তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরবেন জোলি। জলবায়ু পরিবর্তনের বহুমুখী সংকট, বাস্তুচ্যুতি এবং যে দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তাহীনতা আমরা বৈশ্বিকভাবে প্রত্যক্ষ করছি, তার টেকসই সমাধান নিয়েও কথা বলবেন তিনি।

আরও পড়ুন

পাকিস্তানের মতো দেশগুলো যে সংকটের জন্য দায়ী না হয়েও কীভাবে সবচেয়ে বেশি মাশুল গুনছে, সেটি সরাসরি দেখবেন জোলি।

আইআরসির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তাঁর এই সফর বিষয়টির গুরুত্ব তুলে ধরবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জলবায়ু সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে সহায়তা প্রদান ও পদক্ষেপ গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করবে বলে আশা করছে আইআরসি।’

আইআরসির সর্বশেষ চাহিদা মূল্যায়ন দেখা যায়, বন্যাদুর্গতদের জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য, খাবার পানি, আশ্রয় এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রয়োজন। নিজেদের স্বাস্থ্য–সম্পর্কিত পণ্যগুলোও পাচ্ছেন না নারীরা।

আরও পড়ুন