সেনা কর্মকর্তার নাম বাদ দিতে রাজি নন ইমরান, মামলা দায়েরে জটিলতা
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মামলা দায়ের নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার নাম বাদ দিতে ইমরান খান অস্বীকৃতি জানালে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ নিয়ে এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। এ মামলায় নাম রয়েছে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরও। খবর ডনের।
এদিকে ইমরান খানের ওপর বন্দুক হামলার ঘটনায় আরও দুই সন্দেহভাজনকে আটক করেছে তদন্তকারীরা। তাঁরা হামলাকারীকে অস্ত্র ও গুলি সরবরাহ করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আর ঘটনার সময়ই অস্ত্রধারীকে আটক করা হয়েছিল।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, মামলায় সেনা কর্মকর্তার নাম রাখার বিষয়ে অব্যাহতভাবে তাগাদা দিয়ে আসছেন ইমরান খান। এতে ‘শ্যাম রাখি না কুল রাখি’ অবস্থার মধ্যে পড়েছেন ইমরান খানের মিত্র পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চৌধুরী পারভেজ এলাহি।
বিষয়টি নিয়ে গতকাল শুক্রবার পাঞ্জাবের প্রাদেশিক মন্ত্রিসভার বৈঠকেও আলোচনা হয়েছে। এতে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ফয়সাল শাহকারের পাশাপাশি জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তারা এবং প্রাদেশিক আইনমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা ডনকে বলেন, বৈঠকে মামলার সব আইনি দিক–সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, বৈঠকে প্রতিবন্ধকতার বিষয়েও আলোচনা হয়। মামলা দায়েরে বিলম্ব সাক্ষ্যপ্রমাণ সুরক্ষা এবং ইমরান খানের ওপর সশস্ত্র হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি প্রদানের সব প্রচেষ্টাকে ভন্ডুল করে দিতে পারে বলে এতে মত আসে।
আগাম নির্বাচনের দাবিতে লংমার্চ চলাকালে বৃহস্পতিবার পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে একজন নিহত হন। আহত হন ইমরান খান ও পিটিআইয়ের কয়েকজন নেতাসহ ১৪ জন।
ঘটনার রাজনৈতিক দিক উল্লেখ করে সূত্রটি বলেছে, মামলায় জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার নাম দেওয়ার ‘যুক্তির’ বিপক্ষে মুখ্যমন্ত্রী এলাহি। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও পিটিআই নেতাদের মধ্যে বেশ কয়েকটি বৈঠক হয়েছে। মামলায় সেনা কর্মকর্তার নাম না দেওয়ার বিষয়ে তাঁদের রাজি করানোর চেষ্টা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘থানায় আবেদন দায়েরের বিষয়ে পাঞ্জাবের প্রাদেশিক জোট সরকার ও জোটের মিত্র পিটিআইয়ের মধ্যে আলোচনা চলছে।’
জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইমরান খান তাঁর ওপর হামলার জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ ও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ে কর্মরত মেজর জেনারেল ফয়সাল নাসিরকে দায়ী করেছেন।