খরচ কমাতে পাকিস্তানে মন্ত্রী-আমলাদের পেট্রল কোটায় কাটছাঁট

পাকিস্তানে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুই দফায় ৬০ রুপি বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম
ফাইল ছবি: রয়টার্স

পাকিস্তানে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুই দফায় ৬০ রুপি বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে এখন কৃচ্ছ্রসাধন তথা সরকারি ব্যয় কমানোর পথে হাঁটছে সরকার। তারই অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দ গাড়ির জ্বালানি তথা পেট্রল কোটা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। গতকাল শুক্রবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে। খবর জিও নিউজের।

সর্বশেষ দফায় লিটারে ৩০ রুপি বেড়েছে পেট্রল ও ডিজেলের দাম। প্রতি লিটার পেট্রলের দাম বেড়ে হয়েছে ২০৯ দশমিক ৮৬ রুপি। ৩ জুন থেকে বর্ধিত মূল্য কার্যকর হয়েছে।

অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে ঋণ প্যাকেজের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। ঋণ পেতে ভোগ্যপণ্য থেকে ভর্তুকি তুলে নেওয়ার শর্ত দিয়েছে আইএমএফ। এরই অংশ হিসেবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে।

আরও পড়ুন

এর আগে তুরস্ক সফররত শাহবাজ শরিফ টিআরটি ওয়ার্ল্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন ১৫ মাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এই সময়ের মধ্যে তাঁর লক্ষ থাকবে মুদ্রাস্ফীতি ও দারিদ্র্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানকে পুনর্গঠন করাই আমার ভিশন। দারিদ্র্য দূরীকরণে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। ব্যয় কমানোর জন্য সরকারি খাতের বাজেটে কাটছাঁট করছি।’ সাধারণ মানুষ যেসব সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন, সেসব মোকাবিলায় আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার ‘স্বল্পমেয়াদি’ পদক্ষেপ নেবে বলেও জানান তিনি।

তবে শাহবাজ শরিফ বলেন, যদি তিনি জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসেন, তাহলে বেকারত্ব ও দারিদ্র্যের মতো বিষয়গুলো সমাধানে পূর্ণাঙ্গ উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। বিশ্ববাজারে জ্বালানির দামে উল্লম্ফনের কারণে তেল-গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে সরকার বাধ্য হয়েছে বলেও তিনি জানান।

এদিকে খাইবার পাখতুনখাওয়া ও সিন্ধু প্রদেশের সরকার এবং করাচি প্রশাসন কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দ করা পেট্রলের কোটা ইতিমধ্যেই কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন। পেট্রলের কোটা ৩৫-৪০ শতাংশ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন

জ্বালানি ব্যয় কমাতে প্রাদেশিক সরকারের সব বিভাগ, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পেট্রল কোটা ৩৫ শতাংশ কমানোর ঘোষণা দেয় খাইবার পাখতুনখাওয়া সরকার। ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানানো হয়।

দিনের শুরুতে সিন্ধু প্রদেশের চিফ মিনিস্টার (মুখ্যমন্ত্রী) মুরাদ আলি শাহ প্রাদেশিক মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তাদের পেট্রলের কোটা ৪০ শতাংশ কমানোর কথা ঘোষণা দেন। দেশে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ ছাড়া করাচি মেট্রোপলিটন করপোরেশনের (কেএমসি) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেট্রল কোটা ৪০ শতাংশ কমানোর ঘোষণা দেন করাচির প্রশাসক মুর্তজা ওহাব।