পাকিস্তানে পেট্রলের দাম বাড়ায় গাধায় টানা গাড়িতে অফিস যেতে চান তিনি

প্রতীকী
ছবি: এএফপি

বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষের (সিএএ) কর্মী রাজা আসিফ ইকবাল ২৫ বছর ধরে পাকিস্তানের ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে কাজ করে আসছেন। গতকাল শুক্রবার সিএএ কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি গাধায় টানা গাড়িতে অফিসে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে লিখিত আবেদন করেন। তাঁর দাবি, সরকার সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোয় ব্যক্তিগত গাড়িতে যাতায়াত করা তাঁর পক্ষে আর সম্ভব নয়। খবর ডনের।

সিএএ মহাপরিচালককে লেখা চিঠিতে আসিফ ইকবাল বলেন, মুদ্রাস্ফীতি কেবল দরিদ্রদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়নি, মধ্যবিত্তদের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সিএএর গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় গাধায় টানা গাড়ি রাখার অনুমতি দেওয়ার আবেদন জানান তিনি। এই কর্মী বলেন, ‘এই মুদ্রাস্ফীতির সময়ে প্রতিষ্ঠান পরিবহনসুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে। পেট্রলের দাম বাড়ায় ব্যক্তিগত গাড়িতে চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়েছে। দয়া করে বিমানবন্দরে আমার গাধায় টানা গাড়ি আনার অনুমতি দিন।’

তবে সিএএর মুখপাত্র সাইফুল্লাহ খান ডনকে বলেন, প্রত্যেক কর্মীকে জ্বালানির জন্য ভাতা দেওয়া হয়। অফিসের গাড়িতে আনা-নেওয়ার বিষয়ে ওই কর্মীর দেওয়া বক্তব্যেরও বিরোধিতা করেন তিনি।

সাইফুল্লাহ খান বলেন, অফিসের গাড়িতে তাঁদের আনা-নেওয়া হয়। বিমানবন্দরে কর্মরতদের জন্য মেট্রোবাস সার্ভিসের ব্যবস্থা রয়েছে বলেও তিনি জানান। সিএএ মুখপাত্র বলেন, এই আবেদন সংবাদমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ ছাড়া আর কিছুই নয়।

পাকিস্তানে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুই দফায় ৬০ রুপি বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। সর্বশেষ দফায় লিটারে ৩০ রুপি বেড়েছে পেট্রল ও ডিজেলের দাম। প্রতি লিটার পেট্রলের দাম বেড়ে হয়েছে ২০৯ দশমিক ৮৬ রুপি। গতকাল শুক্রবার থেকে বর্ধিত মূল্য কার্যকর হয়েছে।

আরও পড়ুন

অনিবার্য এ সিদ্ধান্তের কারণে মুদ্রাস্ফীতি ও জনগণের ভোগান্তি বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি সংবাদ সম্মেলনে স্বীকার করেন অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল। তবে তিনি বলেন, বিগত সরকারের ‘ভুল সিদ্ধান্তের কারণে’ দেশকে দেউলিয়া হতে দিতে পারেন না।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম বাড়ছে। ভর্তুকির কারণে শুল্ক ছাড়াও সরকারকে প্রতি মাসে ১২০ থেকে ১৩০ বিলিয়ন রুপি লোকসান গুনতে হচ্ছে। নতুন বর্ধিত মূল্যের কারণে জ্বালানি তেলে সরকারের ভর্তুকি বা লোকসানের পরিমাণ মাসে ২৫ বিলিয়ন রুপি কমবে।