ইতিহাসের এই দিনে
প্রথম ‘পানিঘড়ি’ চালু
বিশ্বে প্রতিদিন নানা ঘটনা-দুর্ঘটনা ঘটে। উদ্ভাবন-উন্মোচন ঘটে অনেক কিছুর। জন্ম ও মৃত্যু হয় অনেকের। তবে কিছু বিষয় দাগ কাটে মানুষের মনে, স্থায়ীভাবে ঠাঁই পায় ইতিহাসে। তেমন কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। আজ ১০ জুন। ফিরে দেখা যাক, উল্লেখযোগ্য কী ঘটেছিল এই দিনে। ‘অন দিস ডে: আ হিস্ট্রি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন ৩৬৬ ডেজ’ বই থেকে অনুবাদ করেছেন অনিন্দ্য সাইমুম।
জাপানে তখন সম্রাট তেনজির শাসনকাল। সময়টা ৬৭১ সালের ১০ জুন। দেশটিতে প্রথমবারের মতো পানিঘড়ি চালু করা হয়। জাপানিদের কাছে এটা ‘রোকোকু’ নামে পরিচিত। এই ঘড়িতে কয়েকটি অংশ ছিল। একটি থেকে আরেকটিতে পানি প্রবাহিত হতো। আর প্রবাহিত পানির মধ্য দিয়ে জাপানিরা সময় গণনা করত। এ জন্য পানিঘড়ি নামেও পরিচিত এটা। সেই থেকে এখন পর্যন্ত জাপানিরা প্রতিবছরের ১০ জুন ক্লক ডে বা ঘড়ি দিবস পালন করে আসছে।
যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ইতালির যুদ্ধ ঘোষণা
ইতালিতে তখন ফ্যাসিস্ট শাসক বেনিতো মুসোলিনি ক্ষমতায়। ১৯৪০ সালের ১০ জুন মুসোলিনি যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে ইতালি। যদিও ফলাফল সুখকর হয়নি।
বিশ্বযুদ্ধে পরাজিত হতে হয় ইতালিকে। ক্ষমতা হারান মুসোলিনি। দুই দশকের কম সময়ের মধ্যে আরেকটি বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ দেখতে হয় বিশ্ববাসীকে। প্রাণ যায় অগণিত মানুষের।
বিশ্বের সবচেয়ে নীরব জায়গা
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের রেডমন্ডে প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফটের সদর দপ্তর অবস্থিত। সেখানে ২০১৫ সালের এই দিনে একটি বিশেষভাবে নির্মাণ করা চেম্বার বা কক্ষ চালু করা হয়। এর বিশেষত্ব হলো এই কক্ষের দেয়াল সব শব্দ ও প্রতিধ্বনি শুষে নিতে পারে। বিশ্বের সবচেয়ে নীরব জায়গা বলা হয় এটাকে।
চীন থেকে ফ্রান্স অবধি গাড়ির রেস
সময়টা ১৯০৭ সালের ১০ জুন। চীনের বেইজিং শহরে ফরাসি দূতাবাস থেকে একটি প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এতে অংশ নেয় পাঁচটি দল। এসব দলের সদস্যরা গাড়ি নিয়ে পথে বেরিয়ে পড়েন। গন্তব্য ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস। প্রতিযোগিতামূলক এ যাত্রায় তাঁরা পাড়ি দেন ১৬ হাজার কিলোমিটার বা প্রায় ১০ হাজার মাইল।